পাবনার চাটমোহরে এসিড দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যে ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগি পরিবার। পরিবারটির অভিযোগ,এই মামলায় নির্দোষ এক ব্যক্তিকে ফাঁসানো হয়েছে। তারা এই মামলার পুনঃতদন্ত দাবি করে মামলায় অভিযুক্তদের খালাস দেওয়াসহ প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের আহবান জানিয়েছেন।
অভিযোগে জানা গেছে,গত ০৪/০৭/২০২৪ ইং তারিখ রাত আড়াইটার দিকে চাটমোহর উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়নের কুকড়াগাড়ি গ্রামের আব্দুর রহিম (৬৫) নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। এসময় কে বা কারা তাকে ঘর থেকে বের করে তার শরীরে দাহ্য পদার্থ ঢেলে দেয়। এতে আহত হন আঃ রহিম। তাকে প্রথমে চাটমোহর হাসপাতালে এবং পরে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ ব্যাপারে চাটমোহর থানায় আহত আঃ রহিমের ভাই আঃ আজিজ বাদী হয়ে প্রতিবেশী ৭জনকে বিবাদী করে এসিড দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার ৬ জন বিবাদী জামিন লাভ করলেও ১নং বিবাদী শহিদ সরদারের ছেলে শফিকুল ইসলাম এখনো হাজতে রয়েছেন।
শফিকুলের স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন দাবি করেন,ঘটনার দিন ও সময়ে তার স্বামী শফিকুল ইসলাম চাটমোহরে ছিলেন না। তারা চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ছিলেন। সেখানে শফিকুল ও তার স্ত্রী ফুটপাতে বিরানী বিক্রি করেন। অথচ এই মামলায় শফিকুলকে ষড়যন্ত্রভাবে ১নং বিবাদী করা হয়েছে। জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরেই এই মামলায় শফিকুলসহ তার পিতা ও ২ ভাইকে বিবাদী করা হয়।
সুমাইয়া খাতুন বলেন,তার স্বামী গ্রামে থাকেন না। নাবালক তিন ছেলে-মেয়ে নিয়ে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে থাকেন। সেখানে থাকাবস্থায় প্রতিপক্ষ তাকে ফাঁসানোর জন্য মিথ্যে ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করেছেন। আঃ আজিজ গং নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতেই এই মামলা করেছেন। কারণ সেদিন কে বা কারা এই ঘটনার সাথে জড়িত ছিল,তার সঠিক তদন্ত করা হয়নি।
সুমাইয়া খাতুন বলেন,“আমি এখন অসহায় হয়ে পড়েছি। তিনটি সন্তান নিয়ে মানবেতন জীবনযাপন করছি। বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। তিনি ঘটনার পুনঃতদন্তসহ দোষি ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।