ঝিনাইদহের শৈলকুপায় সবজি ফুলকপি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। ফুলকপি চাষে খরচের টাকা না উঠায় তারা হাতাশা প্রকাশ করছেন। লাঙ্গলাবাঁধ বাজার ও শৈলকুপা বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রতি পিচ ফুলকপি পাইকারী ২টাকা থেকে শুরু করে ৬টাকায় বিক্রি হচ্ছে।শৈলকুপা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানালেন ফুলকপির এমন দামে চাষির ব্যাপক লোকসান হবে। তবে সরকারী ভাবে প্রত্যেক কৃষি পণ্যের উৎপাদন খরচের সাথে তুলনা করে একটি মূল্য নির্ধারিত হওয়া উচিত। শৈলকুপা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় চলতি মেসৈুমে উপজেলায় ৩৮৫ হেক্টর জমিতে ফুলকপির আবাদ হয়েছে। ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের ডাউটিয়া গ্রামের আমজাদ হোসেন জানান, তিনি এবার ৪০ শতাংশ জমিতে ফুলকপির আবাদ করেছেন। ভরা এ মৌসুমে কপির যে দাম তাতে চাষিদের খরচের টাকা উঠবে না। এক বিঘা জমিতে ৪ হাজার পিচ কপির চারা রোপন করা যায়। একপিচ চারার মূল্য পরে আড়াই টাকা। এর সাথে সার সেচ ও শ্রম হিসাব করলে বিক্রি পর্যন্ত একপিচ কপিতে খরচ হয় ১০ টাকার মত। আর তা যদি বিক্রি করতে হয় ২ টাকা থেকে ৬ টাকায় তাহলে চাষির অবস্থা কোথায় গিয়ে দাড়াবে। ফুলহরী গ্রামের বদর উদ্দিন বলেন, অনেক চাষি ফুলকপি মাঠে কেটে ফেলছে। দেড় কেজি ওজনের একটি কপি উৎপাদনে মিনিমাম ১০ টাকা খরচ হয়। আর তা বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ৬ টাকা পিচ। প্রত্যেক কপিতে লোকসান গড়ে ৪ টাকা। কপি বিক্রি করে পরিবহন খরচই হচ্ছে না বলে জানান। লাঙ্গলবাঁধ বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা শরিফহোসেন বলেন, পাইকারী প্রতিপিচ ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২ টাকা থেকে ৬ টাকা। তারা দেড় কেজি ওজনের একটি কপি খুচরা বিক্রি করছেন ১০ টাকা। আমরা যে রকম কিনতে পারবো সেই রকম বিক্রি করব। কিন্ত চাষিরতো ব্যাপক লোকসান। ভরা মৌসুমে ফুলকপির এমন দামে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান বলেন, বর্তমানে ফুলকপি যে দামে বিক্রি হচ্ছে তাতে চাষির অনেক লোকসান হবে। তার দাবী চাষির প্রত্যেকটা পণ্যের লোকসানের হাত থেকে বাঁচাতে হলে কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের উচিত প্রত্যেকটা কৃষি পণ্যের উৎপাদন খরচের সাথে তাল মিলিয়ে মূল্য নির্ধারন করা। তাহলে চাষিরা উপকৃত হবে।