নীলফামারীর সৈয়দপুরে ভিসা প্রতারক চক্রের মুল হোতা সোহেল রানা বাবু ওরফে সেলসেলা বাবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সৈয়দপুর উপজেলার খালিশা ধুলিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা শাখা ( ডিবি) পুলিশের একটি দল। ১১ ডিসেম্বর ওই প্রতারককে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়,সিলেট জেলার মাইশাষি থানার বালাগঞ্জ এলাকার ভিসা প্রতারনার শিকার নিজাম উদ্দিন। এতে ৮৫ জন ১ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা অনলাইন প্রতারণার শিকার হন। এরপর তারা বিষয়টি নীলফামারী জেলা গোয়েন্দা শাখা পুলিশকে মৌখিকভাবে অবগত করেন।
বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্য জেলা পুলিশ সুপার গেয়েন্দা শাখা পুলিশকে নির্দেশ দেয়। তারই নির্দেশে পুলিশ শুরু করে অনুসন্ধান। অনুসন্ধানকালে ঘটনার সত্যতা পেয়ে জেলা গোয়েন্দা শাখার পুলিশ পরিদর্শক ( নিঃ) মোঃ আকতার হোসেন এর নের্তৃত্বে একটি চৌকষ আভিযানিক দল সৈয়দপুরে অভিযান চালায়। এতে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকায় অনলাইন ভিসা প্রতারক চক্রের মুল হোতা আসামী মোঃ সোহেল রানাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বাড়ী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামে। বর্তমান ঠিকানা ছিল সৈয়দপুর উপজেলার খালিশা ধুলিয়া গ্রাম। এ সময় তার কাছ থেকে ১৯টি জাল পাসপোর্ট, নগদ টাকা,হিসাব খাতা, সিডনি অষ্ট্রেলিয়া বিগেস্ট কোম্পানির একটি আইডি কার্ড, আব্দুর রাজ্জাক লেখা আরেকটি আইডি কার্ড, কানাডিয়ান জাল এক হাজার ডলারের ৩৫টি নোটের বান্ডিল একটি,জাল কানাডিয়ান ৫শ ডলারের ৩৭টি নোটের বান্ডিল ১টি, জাল কানাডিয়ান ১শ ডলারের ৩২টি নোটের বান্ডিল ১টি এছাড়াও অন্যান্য দেশের পৃথক পৃথক মুদ্রার ২টি বান্ডিল পাওয়া যায়। যার একটিতে ছিল ৭০টি নোট আরেকটিতে ছিল ৪০টি। এছাড়াও প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ১টি ল্যান্ড টেলিফোন উদ্ধার করা হয়। আসামী বাদীর কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রতারণার মাধ্যমে কানাডিয়ান ভিসা দেয়ার কথা বলে বিকাশ, নগদ এবং ব্যাংকের মাধ্যমে ১ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করেছে।
আসামীর বিরুদ্ধে সৈয়দপুর থানায় পৃথক কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়। সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ রেজাউল করিম রেজা বলেন,আসামীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।