রামগতিতে তানিয়া রবের গাড়ী বহরে হামলা, আহত ২০

এফএনএস (নজরুল ইসলাম; রামগতি, লক্ষ্ণীপুর) : | প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৮:১৭ পিএম
রামগতিতে তানিয়া রবের গাড়ী বহরে হামলা, আহত ২০

লক্ষ্ণীপুর-৪ রামগতি ও কমলনগর সংসদীয় আসনে বিএনপি জোটের সম্ভাব্য প্রার্থী ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি তানিয়া ফেরদৌসী (তানিয়া রবের) গাড়ীর বহরে বিএনপি সমর্থিতদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাত ৯ টার দিকে উপজেলার চরপোড়াগাছা ইউনিয়নের আজাদনগর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এসময় আসিফুল ইসলাম রিয়াজ, পরাধীন, মোহন ও মুরাদসহ দলটির ২০ জন নেতাকর্মী আহত হন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। 

এঘটনায় বিএনপিকে দায়ী করে এবং প্রশাসনকে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন রামগতি উপজেলা জেএসডি।

 বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর ১ টায় উপজেলার হাজিগঞ্জ এলাকায় আ স ম আব্দুর রবের বাসভবন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তানিয়া রব বলেন, বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে কমলনগর উপজেলা জেএসডি আয়োজিত নির্বাচনী সমাবেশ শেষ করে ৮ তারিখের হামলায় আহত নেতাকর্মীদের দেখতে রামগতি উপজেলার হারুন বাজার এলাকায় যান তিনি। পরে আজাদনগর বাজারে আসলে হঠাৎ তার গাড়ি বহরে চরপোড়াগাছা ইউনিয়ন যুবদল নেতা মামুন, এলাহী, মুন্না ও আল আমিনের নেতৃত্বে শতাধিক দুর্বৃত্তরা হামলা করে, তাদের হামলায় জেএসডি নেতা আসিফুল ইসলাম রিয়াজ ও মোহনকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে মারধর করা হয় এবং তাদের তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। এসময় তাদেরকে রক্ষায় জনতা এগিয়ে আসলে দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। হামলায় জেএসডির প্রায় ২০ জন নেতাকর্মী আহত হন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। 

তানিয়া রব বলেন, রাষ্ট্র একটা পর্যায়ে যাওয়ার দারপ্রান্তের মাধ্যম হলো একটি অবাধ ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচন। আজকে আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করছি। গত ৭ তারিখ থেকে আমাদের কয়েকটি অফিস ভাংচুর করা হয়েছে। পদে পদে বাঁধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এখানে বিএনপির প্রার্থী থাকতেই পারে। আমরাতো আমাদের দলীয় মার্কার প্রচারণা করছি। তাহলে কেন এমন হচ্ছে?।

নির্বাচনের তফসিলের আগেই আমাদের নির্বাচনী কর্মকান্ডে মারধর, অফিস ভাংচুর, হুমকি-ধমকি ও একজন প্রার্থীর গাড়ী বহরে হামলা দেশের গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেছে। এ ধরনের বর্বরোচিত কর্মকাণ্ড গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর নির্লজ্জ আক্রমণ। আমরা রাজনৈতিক সন্ত্রাস এবং স্বাধীন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধা প্রদানের নিন্দা ও ধিক্কার জানাই। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব। অথচ আজ এক সাপ্তাহ ধরে রামগতিতে একের পর এক দফায় দফায় যা ঘটে চলেছে তা প্রমাণ করে, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় অথবা প্রশ্রয়ে গণতন্ত্রের মৌলিক অধিকারকে গলা টিপে হত্যা করার অপচেষ্টা চলছে। একজন প্রার্থীর প্রচারণায় বাঁধা ও প্রার্থীর গাড়ী বহরে হামলার মধ্যে দিয়ে আমরা আগের ফ্যাসিস্টের রুপ দেখতে পাচ্ছি। আমাদের রাজনৈতিক পথ হবে সর্বদা শান্তিপূর্ণ, অহিংস এবং সাংবিধানিক আন্দোলনের। তবে আমরা ভীত নই; বরং আমরা আরও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

তানিয়া রব অবিলম্বে হামলার মূল হোতাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান। পাশাপাশি নির্বাচনী কর্মকাণ্ডের পূর্ণ নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতেরও দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- জেএসডির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলাল, দপ্তর সম্পাদক কামরুল হাসান অপু, প্রচার সম্পদক বোরহান উদ্দিন রোমান, রামগতি উপজেলা সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন বাবলু,আব্দুল্যাহ আল নোমান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। 

সংবাদ সম্মেলনে তিনি প্রত্যেক ভোটারের ভয়মুক্ত ভোটাধিকার পয়োগ এবং শান্তিপূর্ণ প্রচারণা গনতান্ত্রিক অধিকার নির্বাচনে সকল প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান। 

অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট সাজানো দাবি করে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন বলেন, তারা নিজেরাই ছাত্রদল যুবদলের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করেছে। তাদের হামলায় আজাদ নগর বাজারের ব্যবসায়ী যুবদল কর্মী মামুনের মাছের আড়ৎঘর ভাঙচুর করেন। হাজীগঞ্জ বাজারে কবিরের তেলের দোকানে আমলা চালিয়ে খবির ও তার ছেলে ছাত্রদল কর্মীর সজিবের উপর হামলা চালিয়ে মারধর ও দোকান ভাঙচুর করেন। তাদের হামলায় রিয়াজ নামে এক জামাত কর্মীও আহত হন। তিনি তার ভোট করেবেন কিন্তু অন্য দলের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে রাজনীতি করা শিষ্টাচার বহির্ভূত এগুলো পরিহার করার দাবি জানান তিনি

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে