পাবনা-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়নে অসন্তোষ, বিদ্রোহী প্রার্থীর সম্ভাবনা

এফএনএস (হেলালুর রহমান জুয়েল; চাটমোহর, পাবনা) : | প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৩:৪৪ পিএম
পাবনা-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়নে অসন্তোষ, বিদ্রোহী প্রার্থীর সম্ভাবনা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাজনা বেজে উঠেছে। ঘোষিত হয়েছে নির্বাচনী তফসিল। নড়েচড়ে উঠেছেন রাজনৈতিক দল ও দল মনোনীত সম্ভাব্য প্রার্থী। বসে নেই পাবনা-৩ (চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুর) আসনে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থীসহ অন্যান্য দলের প্রার্থীরা। 

এদিকে পাবনা-৩ আসনে বিএনপিতে মনোনয়ন অসন্তোষ বিরাজ করছে। বিএনপি মনোনীত প্রার্থী কৃষকদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি হাসান জাফির তুহিনকে বহিরাগত আখ্যায়িত করে মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে অনড় অবস্থানে বিদ্রোহীরা।    

চলনবিল অধ্যুষিত এই আসনে বিএনপির প্রার্থী দেওয়া হয়েছে কৃষকদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিনকে। নির্বাচনী এলাকার বাইরে গিয়ে তাকে মনোনয়ন দেওয়ায় সাধারণ ভোটারদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। দলের প্রার্থীকে প্রত্যাখান করে আন্দোলনে নেমেছে নেতা-কর্মীদের বড় একটি অংশ। তারা প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি জানাচ্ছে। দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত দুই নেতা এই মনোনয়ন না মেনে মিছিল,সমাবেশ করেছেন। তারা স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষনাও দিয়েছেন। তবে তারা শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত দলের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকবেন বলে জানিয়েছেন। এ অবস্থায় জামায়াতে ইসলামী রয়েছে স্বস্তিতে। যদিও নির্বাচনে জয়লাভ করার মতো ভোট তাদের নেই। 

পাবনা-৩ আসনে কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিনকে মনোনয়ন দেওয়ার পরপরই নির্বাচনী মাঠে নামেন তিনি। দলের নেতা-কর্মীরা তাকে সমর্থন জানিয়ে মাঠে নেমেছেন। প্রতিদিনই চলছে গণসংযোগ ও মতবিনিময়। বিশাল,বিশাল বিলবোর্ড টাঙিয়েছেন। অপরদিকে এই মনোনয়ন না মেনে ফুঁসে উঠেছেন সাবেক এমপি কে এম আনোয়ারুল ইসলাম ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাসাদুল ইসলাম ও তাঁদের কর্মী-সমর্থক। সাধারণ ভোটাররাও মানছেন না অন্য এলাকার প্রার্থীকে। ফলে বিএনপি থেকেই বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বিদ্রোহী প্রার্থী হলে ভোটার হিসাব-নিকাশ পাল্টে যেতে পারে বলে অনেকের মন্তব্য। 

বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হাসান জাফির তুহিন বলেছেন,‘দলের কেন্দ্রীয় নেতা আমি,কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে দল যেকোন জায়গায় পাঠাতে পারে। অতীতেও এমন হয়েছে,আমার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। আমি তো পাবনা জেলার সন্তান,আমাকে বহিরাগত বলা হচ্ছে,যা মোটেও সঠিক নয়। আমি এখন চাটমোহরের ভোটার,চাটমোহরের বাসিন্দা।”

সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা হাসাদুল ইসলাম হীরা বলেছেন,‘দলের কাছে যদি নেতা বড় হয়,আসন যদি জেতার বিবেচ্য বিষয় না থাকে,তাহলে ভিন্ন বিষয়। আর যদি আসন জেতা ফাইনাল থাকে,সরকার গঠণ করতে হবে,তাহলে অবশ্যই বহিরাগত সরিয়ে লোকালকে দিতে হবে’।

এদিকে হাসাদুল ইসলাম হীরার বড় ভাই হাসানুল ইসলাম রাজা পাবনা-৩ আসনে নির্বাচন করার ঘোষনা দিয়েছেন। এই দুই নেতার বোন এ্যাড.আরিফা সুলতানা রুমা রয়েছেন বিএনপি প্রার্থী হাসান জাফির তুহিনের সাথে। 

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে