বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বললেন, “নতুন করে শত্রুরা হত্যাকাণ্ডের মেতে উঠেছে। আমরা আশঙ্কা করছি, সামনে নির্বাচনকে ঘিরে আরো হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।”
তিনি রোববার মিরপুর বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানো শেষে এমন শঙ্কার কথা তুলে ধরেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, “নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ আবারও স্বপ্ন দেখছে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের। আমরা যেকোনো মূল্যে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে অক্ষুণ্ন রাখবো, গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে রক্ষা করব।”
তিনি আরও বলেন, “সকল চক্রান্তকে ব্যর্থ করে দিয়ে দেশের মানুষ, তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায় করবে। যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।”
বিএনপির এ নেতা উল্লেখ করেন, “১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের দোসরদের যোগসাজশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, গবেষক, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিকসহ অনেককেই তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। জাতি তার সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারায়। এটা একটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, বাংলাদেশকে সম্পূর্ণরূপে মেধাহীন করে দেয়ার জন্য এই হত্যাকাণ্ড। একইভাবে দুর্ভাগ্যক্রমে ২০২৪ সালে আমাদের সন্তানদের হত্যা করা হয়েছে।”
এসময় সব ষড়যন্ত ও চক্রান্তকে ব্যর্থ করে দিয়ে দেশকে নতুন ভাবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম।
এর আগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে সকালে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্যরা এবং যুদ্ধাহত ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এবং রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে সর্বস্তরের মানুষের জন্য স্থান দুটি উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।