নীলফামারীর ডোমারে বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান সেবা হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে এক দেহে দুই মাথাবিশিষ্ট নবজাতকের জন্ম হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় এ ধরনের শিশুকে কনজয়েনড টুইন বলা হয়, যা বিশ্বজুড়েই অত্যন্ত বিরল ঘটনা হিসেবে পরিচিত।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়,পল্লবী রানী নামের এক অন্তঃসত্ত্বা নারী প্রসববেদনা নিয়ে শনিবার সকালে সেবা হাসপাতালে ভর্তি হন। শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে চিকিৎসকদের সিদ্ধান্তে দ্রুত সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়। অপারেশনের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া নবজাতকের একটি শরীর থাকলেও দুটি পৃথক মাথা ছিল, যা উপস্থিত সবাইকে বিস্মিত ও শোকাহত করে তোলে।
জন্মের পরপরই নবজাতকটি তীব্র শ্বাসকষ্টসহ নানা জটিলতায় আক্রান্ত হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরা তাৎক্ষণিকভাবে জরুরি চিকিৎসা ও নিবিড় পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা নেন। তবে শারীরিক জটিলতা অত্যন্ত গুরুতর হওয়ায় সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। জন্মের প্রায় ১০ মিনিট পর নবজাতকটির মৃত্যু হয়।
চিকিৎসকদের ভাষ্যমতে,গর্ভাবস্থার একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে ভ্রূণের স্বাভাবিক বিভাজন সম্পূর্ণ না হলে এ ধরনের এক শরীরে দুই মাথাবিশিষ্ট শিশুর জন্ম হতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কনজয়েনড শিশুদের অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ জটিলভাবে সংযুক্ত থাকে, ফলে জন্মের পর তাদের টিকে থাকা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। এটি জানাজানি হলে স্থানীয়রা এক নজর শিশুটিকে দেখতে ভীর জমায় সেখানে।