সেনবাগে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে শহিদ বুদ্ধিজীবি দিবস উদযাপন করেছে সেনবাগ উপজেলা প্রশাসন। বেলা ১১টার সময় সেনবাগ উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তসেম্ভ শহিদ বুদ্ধিজীবিদের স্বরণে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে সহকারী কমিশনার (ভূমি),সেনবাগ থানার ওসি সহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ শহিদ বুধ্ধিজীবিদের সম্মানের পুস্পস্তবক অর্পন করেন। এরপর সেনবাগ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের আহবায়ক আবদুল আজিম চৌধুরীর নেতৃত্বে বীরমুক্তিযোদ্ধা বৃন্দ পুস্পস্তবক অর্পন করেন।
শেষে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে নির্বাহী অফিসার মুহসিয়া তাবাসসুম এর সভাপতিত্বে ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সহকারী কমিমনার (ভূমি) ও পৌরসভা প্রশাসক নুর পেয়ারা বেগম, সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবুল বাশার, সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রাদিয়া আপরোজ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রেজাউল করিম, উপজেলা জামাযাতের আমীর মাওলানা ইয়াছিন করিম, সেনবাগ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানাজার মিনারুল ইসলাম, সেনবাগ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের যুগ্ম আহবায়ক মনজুর মোরশেদ, মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ আবু তাহের, সেনবাগ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম শায়েস্তানগরী, ছাত্রপ্রতিনিধি মেহেরাব হোসেন, উপজেলা প্রেসক্লাবের সেক্রেটারী আলা উদ্দিন আলো প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন,দীর্ঘ ৯মাসের স্বাধীন যুদ্ধের বিজয়ের মাত্র দুইদিন আগে পাকিস্তানী বাহিনী ও তাদের দোসরদের সহযোগীতায় বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবি,বিজ্ঞানী,সাংবাদিক, নাট্যকার, প্রকৌশলীদের চিহৃন্ত করে তার্গেট কিলিং হত্যা করে ও ঘুম করে মনে করেছিলো এদের হত্যা করলে দেশ আর স্বাধীন হবেনা। এবং হলেও মেধাশূন্য হয়ে পড়বে। বক্তারা আশাবাদ ব্যাক্ত করে বলেন, শহিদ বুদ্ধিজীবিদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা যে ভুলুন্ঠিত না হয় সে দিয়ে নজর দেওয়া আহবান জানান। দিবসটি উপলক্ষে সমজিদ, গির্জা, সহ বিভিন্ন ধমীয় উপসানালয়ে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।