কালীগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপিত

মোঃ আল-আমিন দেওয়ান; কালীগঞ্জ, গাজীপুর | প্রকাশ: ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৭:১২ পিএম
কালীগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপিত
গাজীপুরের কালীগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে ‘মহান বিজয় দিবস’ উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির পর উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে স্বাধীনতা স্তম্ভে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, থানা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা ও পৌর বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। ১৬ ডিসেম্বর সকালে বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালী উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে কালীগঞ্জ আর আর এন সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সারাদেশের ন্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু করা হয়। পুলিশ প্রশাসন, আনসার ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম কামরুল ইসলাম, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাকির হোসেন। এ ছাড়া অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাকিয়া সরোয়ার লিমা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা আফরোজা বেগম সহ উপজেলার বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তারা। পরে অংশ গ্রহনকারীদের মাঝে সম্মাননা স্মারক ক্রেস্ট ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। দুপুরে কালীগঞ্জ আর আর এন সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শহীদ পরিবার ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাকিয়া সরোয়ার লিমা এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফজলুল হক কাজী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ হোসেন পাঠান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আনোয়ারুল হক বাচ্চু, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জহিরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মতিউর রহমান ভূইয়া ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিরাজ উদ্দিন প্রমুখ। সভার পূর্বে উপজেলার কর্মকর্তারা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রজনীগন্ধা ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। পরে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম কামরুল ইসলাম তাদের মাথায় টুপি পরিয়ে সম্মান জানান। সবাইকে একটি করে সাদা গেঞ্জি উপহার দেন। পরে হাসপাতাল ও এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন এবং বাদ জোহর সকল মসজিদে জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে মিলাদ ও বিশেষ মুনাজাত করা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন মন্দির, গির্জা, প্যাগোডায় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান ও নিত্য পরিবেশিত হয়।
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে