কুমিল্লায় বোগদাদ ও আইদি পরিবহন সার্ভিসের দ্বন্দ্বে একদিন আধাবেলা গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখার পর অবশেষে চাঁদপুর - কুমিল্লা রুটে বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। চাঁদপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে আইদি পরিবহনের বাসগুলো কুমিল্লায় পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড ও বোগদাদ পরিবহনের বাসগুলো কুমিল্লা নগরীর জাঙ্গালিয়া বাস টার্মিনাল পর্যন্ত চলাচল করছে। শুক্রবার বিকেলে সরজমিন চাঁদপুর বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে আইদি ও বোগদাদ পরিবহনের সিরিয়ালে থাকা গাড়ির স্টাফরা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, কুমিল্লা নগরীর তিনটি বাস টার্মিনাল থেকে সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। এতে বিপাকে পড়েন কুমিল্লা - চাঁদপুর রুটের যাত্রীরা।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল থেকে নগরীর জাঙ্গালিয়া, শাসনগাছা ও চকবাজার বাস টার্মিনাল থেকে কুমিল্লা-ঢাকা, কুমিল্লা-চট্টগ্রাম, কুমিল্লা-সিলেট, কুমিল্লা-চাঁদপুরসহ অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার কোনো বাস আধাবেলা বন্ধ রাখা হয় ওইদিন।
জাঙ্গালিয়া বাস টার্মিনাল থেকে কুমিল্লা-চাঁদপুর সড়কে আইদি পরিবহনের বাস চলাচল বন্ধের দাবিতে এ ধর্মঘটের ডাক দেয় বাস মালিক সমিতি।
পরিবহন নেতারা জানান, কুমিল্লা নগরীর তিনটি বাস টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন কয়েক হাজার বাস ও মিনিবাস প্রায় ৪০টি রুটে চলাচল করে। ২০২৩ সালে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে আইদি পরিবহণ কুমিল্লা-চাঁদপুর রুটে চলাচলের অনুমতি পায়।
আইদি পরিবহনের চেয়ারম্যান মীর পারভেজ আলম অভিযোগ করেন, চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে বাস সার্ভিস চালু করলেও শুরু থেকেই কুমিল্লা বাস মালিক গ্রুপের একটি সিন্ডিকেট তাদের চলাচলে বাধা দেয়। এ কারণে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন থেকে রুট পারমিট না পেয়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে জাঙ্গালিয়া বাস টার্মিনাল ছেড়ে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড থেকে বাস সার্ভিস চালু করা হয়। আইনি কোনো বাধা না থাকলেও এখনো অনাপত্তিপত্র দেয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
অন্যদিকে কুমিল্লা বাস মালিক সমিতির কার্যকরী সভাপতি মো: তাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, আইদি পরিবহণ চাঁদপুর জেলা প্রশাসন থেকে পারমিট পেলেও কুমিল্লা থেকে রুট পারমিট পায়নি। তবুও তারা বাস টার্মিনাল ব্যবহার করতে চাচ্ছে। এর আগেও কয়েক দফা বাধা দেয়ার পর বিজয় দিবসে হঠাৎ করে কিছু বাস টার্মিনালে আনা হয়। বুধবার ও বৃহস্পতিবারও বাস আনার চেষ্টা করা হলে বাধ্য হয়ে তিনটি টার্মিনাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়। পরে এ বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের সাথে প্রশাসন কথা বললে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে আগের নিয়মে উল্লিখিত দুটি পরিবহনের বাস চলাচল পুনরায় শুরু হয়।