চাটমোহরের জগতলা মাদ্রাসায় নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

এফএনএস (হেলালুর রহমান জুয়েল; চাটমোহর, পাবনা) : | প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৪:২৫ পিএম
চাটমোহরের জগতলা মাদ্রাসায় নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

পাবনার চাটমোহর উপজেলার জগতলা সিদ্দিকীয়া দ্বি-মুখী দাখিল মাদ্রাসায় নিয়োগ কার্যক্রমে অনিয়ম,দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। মাদ্রাসার সভাপতি বুলবুল আহমেদ ও সুপার মওলানা আবুল হোসাইন পরস্পর যোগসাজশে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে প্রায় অর্ধকোটি টাকার বিনিময়ে নিজেদের আত্মীয়-স্বজনকে নিয়োগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন একজন চাকুরী প্রার্থী। নিয়োগ বাতিল করে পুনরায় নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর পদের প্রার্থী রাকিবুল ইসলাম। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২১ ডিসেম্বর চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুসা নাসের চৌধুরী সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মতিনকে প্রধান করে ৩ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠণ করেছেন। কমিটির অন্যরা হলেন আইসিটি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল নোমান ও একাডেমিক সুপারভাইজার মোঃ গোলাম মোস্তফা। ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লিখিত অভিযোগে জানা গেছে,গত ১৪ সেপ্টেম্বর' ও ২১ সেপ্টেম্বর’২৫ তারিখে দুই দফায় চারটি পদে নিয়োগ ও পুন:নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পদগুলো হলো,একজন অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর, একজন ল্যাব সহকারি,একজন নিরাপত্তা কর্মী ও একজন আয়া। তার মধ্যে অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে আবেদন করেন ভুক্তভোগী জগতলা গ্রামের মৃত আবুল মাসুদের ছেলে রাকিবুল ইসলাম। প্রথম দফায় গত ৮ নভেম্বর পরীক্ষার জন্য প্রবেশপত্র পান তিনি। কিন্তু সেদিন পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।এরপর দ্বিতীয় দফায় ১২ ডিসেম্বর পরীক্ষার জন্য প্রবেশপত্র পান এবং যথারীতি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন রাকিবুল ইসলাম। কিন্তু পরে খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারেন সভাপতি বুলবুল আহমেদ তার আপন ফুপাতো ভাই তারেক মাহমুদ ও আপন চাচাতো বোন রাবেয়া খাতুনকে নিয়োগ দিতে আগে থেকেই সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে রেখেছেন।অভিযোগ,মাদ্রাসার সভাপতি একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক বুলবুল আহমেদ ও মাদ্রাসার সুপার আবুল হোসেন নিজেরা যোগসাজস করে অর্ধকোটি টাকার বাণিজ্য করে চারটি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। সভাপতি বুলবুল আহমেদ তার আপন ফুপাতো ভাই তারেক মাহমুদকে অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে এবং আপন চাচাতো বোন রাবেয়া খাতুনকে আয়া পদে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ দেখিয়ে নিয়োগ দিয়েছেন।লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী রাকিবুল ইসলাম এসব অনিয়ম দুর্নীতি তদন্ত করে নিয়োগের সুপারিশ বাতিল করে পুনরায় নিয়োগ পরীক্ষার দাবি জানান।এ বিষয়ে মাদ্রাসার সুপার আবুল হোসাইন ও সভাপতি বুলবুল আহম্মেদ বলেন,“অভিযোগের কোন সত্যতা নেই। অভিযোগ ভিত্তিহীন। নিয়োগ বানিজ্যের কোন ঘটনাই ঘটেনি। নিয়মতান্ত্রিকভাবে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।”চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুসা নাসের চৌধুরী বলেন,'লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে একটি তদন্ত কমিটি গঠণ করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর যাচাই বাছাই সাপেক্ষে পরবর্তী  ব্যবস্থা নেয়া হবে।'

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে