সৈয়দপুরে তীব্র শীতে নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা

এফএনএস (ওবায়দুল ইসলাম; সৈয়দপুর, নীলফামারী) : | প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৪:৩৫ পিএম
সৈয়দপুরে তীব্র শীতে নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা

নীলফামারীর সৈয়দপুরে কয়েক দিন ধরে চলছে তীব্র ঠান্ডা। ঘন কুয়াশা আর তীব্র ঠান্তায় কাহিল এ অঞ্চলের মানুষজন। বিশেষ করে হাঁড় কাঁপানো ঠান্ডায় অসহায় হয়ে পড়েছে শিশু ও বয়স্ক মানুষ।

তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রী থেকে ১৭ ডিগ্রীতে ওঠা নামা করছে। যার কারণে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায়। সৈয়দপুর ১০০ শয্যা সরকারি হাসপাতালে ভীর করছে এ রোগে আক্রান্তরা। 

এদিকে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় কাজে যেতে পারছেন না নিম্ন আয়ের মানুষ। ফলে বড় অসহায় হয়ে পড়েছে ওই পরিবারগুলো।

২৪ ডিসেম্বর সৈয়দপুর ১০০ শয্যা সরকারি হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, শিশু ওয়ার্ডে অসুস্থ্য শিশুরা তার মায়ের সাথে শুয়ে আছেন। এদের কারো ডায়রিয়া, কেউ বা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। অপরপাশে সর্দি জ্বর এবং শ্বাষকষ্টে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেক শিশু ও বয়স্করা। 

হাসপাতালে ভর্তি এক অসুস্থ্য শিশুর অভিভাবক  জানান, প্রথমে সর্দি জ্বর হয়। পরে তা শ্বাসকষ্টে রুপ নেয়। গ্রামে চিকিৎসা নিয়ে ভাল না হলে হাসপাতালে নিয়ে আসি। এখানে নিয়মিত নেবু লাইজ ও অক্সিজেন সরবরাহ দেওয়ায় বাচ্চা অনেকটা সুস্থ্যের পথে। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত আরেক শিশুর অভিভাবক জানান, প্রথমে বমি, এরপর পাতলা পায়খানা। এভাবে দুদিন ওষুধ খাইয়েও সুস্থ্য না হলে নিয়ে আসি হাসপাতালে। এখানে ভর্তির পর অনেকটা উন্নতি হয়েছে। 

সৈয়দপুর ১০০ শয্যা সরকারি হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, এ জনপদে শীত আগমনের সাথে সাথে ১ দিন থেকে ৫ বছরের শিশুরা নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, শ্বাষকষ্ট, এলার্জিসহ নানা ধরনের শীতবাহিত রোগে মারাত্বকভাবে আক্রান্ত হয়। গত বছর ডিসেম্বর মাসে হাসপাতালে প্রায় আড়াই হাজার শিশু চিকিৎসা নেয়। তার মধ্যে ৬৫ ভাগ শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়। বাকি ৩৫ ভাগ বহি:বিভাগে চিকিৎসা নেয়। হিমেল হাওয়া ও তাপমাত্রা কমার সাথে শীত বাহিত রোগের প্রকোপ আরও বেড়েছে। শাষকষ্ট, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া নিয়ে প্রতিদিন হাসপাতালে শিশু ভর্তি হচ্ছে। চিকিৎসকদের তৎরপরতা ও হাসপাতালের সঠিক ব্যবস্থপনায় সকলে সুস্থ্য হয়ে বাড়ী ফিরছে।

সৈয়দপুর ১০০ শয্যা সরকারি হাসপাতালের আর এম ও ডাঃ মুহাম্মদ নাজমুল হুদা বলেন, মহামারী করোনা ভাইরাসের টিকা নেওয়ায় বড়দের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে শীতের কবলে শিশুরা অসুস্থ্য হচ্ছে বেশি। এর জন্য অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে। 

 দিনের অধিকাংশ সময় থাকছে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। হঠাৎ কিছু সময় সূর্যের মুখ দেখা গেলেও তা নিমিষে আবার মিশিয়ে যাচ্ছে।

মুন্সিপাড়া এলাকার বন্দুক নামে একজন জানান,

শীতে কাহিল অবস্থা তার। গত বছর পৌষের শেষেও তেৃন একটা শীত ছিল না। এ বছর পৌষের শুরুতেই তীব্র শীত পড়ছে। শীতবস্ত্র বিতরণে কাউকে এগিয়ে আসতে দেখিনি। 

সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসে সুত্রে জানা যায়,হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশার কারণে শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে