ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে যুবক মো. রিয়াজুল ইসলাম সুমনকে (২০) হত্যাকারী আসামীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন গ্রামবাসী। বুধবার দুপুরে উপজেলার অরূয়াইল ইউনিয়নের ধামাউড়া গ্রামের চকবাজারে দেড় শতাধিক নারী পুরূষের অংশ গ্রহণে এই মানববন্ধন হয়েছে। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য মো. হারূন মিয়া, সাবেক ইউপি সদস্য মো. হাবিব উল্লাহ, গ্রামের বাসিন্দা হাজী জালাল ভূঁইয়া, মো. ইব্রাহিম মিয়া, মো. হারূন মিয়া, ইসরাফিল মিয়া, আক্তার বেগম, জামেলা খাতুন, রূজিনা বেগম ও রিয়াদ। বক্তারা বলেন, বল প্রয়োগ করে সাত্তার মিয়ার জায়গা দখল করতে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে সুমনকে নির্মম ও নৃশংষভাবে হত্যা করেছে মুর্শিদ মিয়া গংরা। হত্যা মামলা দায়েরের দেড়/দুই মাস পরও কোন আসামী গ্রেপ্তার না হওয়ার বিষয়টি উদ্বেগজনক। হত্যাকান্ড ঘটিয়ে আসামী আনোয়ার ও দেলোয়ার নিশ্চিন্তে কিভাবে প্রবাসে চলে গেল? অন্য আসামীরা ১৮-২০ দিন আগে উচ্চ আদালত থেকে ২৮ দিনের জামিনে এসে মামলা তুলে নিতে বাদী পক্ষের লোকজনকে হুমকি দিচ্ছেন। নতুবা আরো উইকেট ফেলে দেয়ার ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছে তারা। বাদী পক্ষকে ঘায়েল করতে মুর্শিদ মিয়া বাদী হয়ে নিহত সুমনের পিতাসহ কয়েকজনের বিরূদ্ধে আদালতে সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট মামলাটির প্রত্যাহার ও হত্যাকারীদের দ্রূত ফাঁসি করছেন গ্রামবাসী। হত্যাকান্ডের পর মুর্শিদ মিয়ার বাড়িতে কেউ কোন ধরণের আছড়ও দেয়নি। সুমনের মা তাহমিনা বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমার তরতাজা ছেলেটা মোটরবাইকে দুপুরের ভাত খেতে বাড়িতে আসে। ভাত খাইতে পারেনি। বাইক থেকে নামার পরই মুর্শিদরা এলাড়াতাড়ি কূপিয়ে ছুড়া দিয়ে গাই দিয়ে খুন করে। এই দৃশ্য আমি কিভাবে ভুলব? আমি ছেলের হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই। মুর্শিদের দায়ের করা মামলার স্বাক্ষী মো. ইরা মিয়া বলেন, মামলায় উল্লেখিত ঘটনা ও আমাকে স্বাক্ষী করার বিষয়ে কিছুই আমার জানা নেই। প্রসঙ্গত: প্রায় ৩ শতক জায়গার বিরোধকে কেন্দ্র করে গত প্রতিবেশী সাত্তার মিয়ার ছেলে সুমনকে গত ১২ নভেম্বর প্রকাশ্যে দিবালোকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে খুন করেন মুর্শিদ তার ছেলে ও স্বজনরা। এ ঘটনায় নিহত সুমনের বাবা সাত্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতসহ ১৫ জনকে আসামী করে সরাইল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার প্রায় দেড় মাস পেরিয়ে যাচ্ছে এখন পর্যন্ত ওই কোন আসামী গ্রেপ্তার হয়নি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই টিপু সুলতান বলেন, মামলাটি তদন্তাধীন আছে। ৭ জন আসামী উচ্চ আদালতের জামিনে আছে। আর দুই আসামী মামলা দায়েরের আগেই দ্রূত দেশের বাহিরে চলে গেছে।