ঋণখেলাপির তালিকা থেকে নাম বাদ চেয়ে চেম্বার আদালতে মান্নার আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৩:১৬ পিএম
ঋণখেলাপির তালিকা থেকে নাম বাদ চেয়ে চেম্বার আদালতে মান্নার আবেদন

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের পথ খুলতে ঋণখেলাপির তালিকা থেকে নিজের নাম বাদ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। আগে একই বিষয়ে করা তার রিট আবেদন হাইকোর্টে খারিজ হওয়ায় রোববার (২৮ ডিসেম্বর) তিনি এই আবেদন করেন।

মান্নার আইনজীবীরা জানান, হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অংশ হিসেবেই চেম্বার আদালতে আবেদন করা হয়েছে। জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল কাইয়ুম বলেন, বিচারপতি মো. রেজাউল হকের চেম্বার আদালতে রোববারই এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।

এর আগে বুধবার বিচারপতি মো. বজলুর রহমান ও বিচারপতি মো. মনজুর আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মান্নার রিট আবেদনটি খারিজ করে দেন। ওই আদেশের পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা আদালতকে জানান, হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের ফলে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাহমুদুর রহমান মান্নার অংশগ্রহণের সুযোগ থাকছে না।

হাইকোর্টে মান্নার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম ও ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণখেলাপির তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার আবেদন আদালত নাকচ করায় মান্না নির্বাচনি আইনি প্রক্রিয়ায় বাধার মুখে পড়েছেন। অন্যদিকে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া তখনই জানান, হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।

মামলার নথি অনুযায়ী, গত ১০ ডিসেম্বর মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠান আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডের কাছে পাওনা ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা আদায়ের লক্ষ্যে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের বগুড়া বড়গোলা শাখা কলব্যাক নোটিশ জারি করে। নোটিশে মান্না ও তার দুই অংশীদারকে ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে বকেয়া পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অর্থ পরিশোধ না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়।

ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আফাকু কোল্ড স্টোরেজে মাহমুদুর রহমান মান্নার ৫০ শতাংশ এবং তার দুই অংশীদার এবিএম নাজমুল কাদির শাজাহান চৌধুরী ও ইসমত আরা লাইজুর বাকি ৫০ শতাংশ অংশীদারত্ব রয়েছে। ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠানটিকে ২২ কোটি টাকা বিনিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হলেও নিয়মিত মুনাফা বা জরিমানা পরিশোধ করা হয়নি। ফলে বকেয়ার অঙ্ক বেড়ে বর্তমানে ৩৮ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

ইসলামী ব্যাংকের বগুড়া বড়গোলা শাখার প্রধান তৌহিদ রেজা বলেন, “প্রতিষ্ঠানটি লাভজনক হওয়া সত্ত্বেও চুক্তি অনুযায়ী পাওনা পরিশোধে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।”

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে