ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে যৌতুকের জন্য তানিয়া আক্তার নামের এক গৃহবধুকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় কালীগঞ্জ থানা পুলিশ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার রাতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয় ও একই দিন দুপুরে শিকলে বাঁধা অবস্থায় তানিয়া আক্তার ও তার বাবাকে উদ্ধার করে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় রাতেই ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। পরে পুলিশ রাতে অভিযান চালিয়ে দুই জনকে গ্রেফতার করে।গ্রেফতারকৃতরা হলেন তানিয়ার শাশুড়ি মাহমুদা খাতুন ও ননদ রুমি খাতুন। এ মামলার প্রধান আসামি সোহেল রানাকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি। তানিয়ার বাবা কালীগঞ্জ উপজেলার মঙ্গলপৈতা গ্রামের রিপন গাজী বলেন, তানিয়ার তিন মাসের শিশুসহ দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য তানিয়াকে মারধর করত সোহেল। মেয়ে কে সুখি রাখার জন্য তানিয়ার বাবা কয়েক দফায় তাকে বেশকিছু টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু, সোহেল ও তার পরিবারের লোকজনের আচরণের কোনো পরিবর্তন হয়নি। তানিয়াকে আবার টাকা আনার জন্য চাপ দেয়। রাজি না হওয়ায় মারধর করে শিকল দিয়ে বেঁধে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে মেয়ের শ্বশুর বাড়ি গেলে আমাকেও মারধর করে আটকে রাখা হয়। কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা অবস্থায় গৃহবধু তানিয়া আক্তার তার বাবাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় মামলা করে। পুলিশ এ ঘটনায় ২ জন কে গ্রেফতার করেছে।