বিশ্বের বিভিন্ন শহরে বায়ুদূষণের মাত্রা বাড়ছে, যার প্রভাব মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বিশেষত, শুষ্ক মৌসুমে ঢাকা শহরটি ভয়াবহ বায়ুদূষণের শিকার হয়ে থাকে, যা জনগণের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করছে। গত কয়েকদিন ধরেই বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় উপরের দিকে অবস্থান করছে।
আজ (৯ জানুয়ারি) সকালে ঢাকার বায়ুর গুণমান 'অস্বাস্থ্যকর' পর্যায়ে রয়েছে। আন্তর্জাতিক বায়ুমান পরিসংখ্যান প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার-এর তথ্যানুসারে, আজ সকাল ৯টার দিকে ঢাকার একিউআই (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) স্কোর ছিল ১৮৬। ফলে, ঢাকাকে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় পঞ্চম অবস্থানে রাখা হয়েছে। দিল্লি, লাহোর, কাম্পালা ও মানামার মতো শহরগুলি এই তালিকায় ঢাকার উপরে রয়েছে।
একিউআই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে বায়ু ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে গণ্য হয়, যা শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের জন্য বিশেষভাবে ক্ষতিকর। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে ওঠে, এবং ৩০১ বা তার বেশি হলে তা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়েছেন যে, বায়ুদূষণ শুধু শ্বাসযন্ত্রের রোগ বাড়ায় না, এটি হৃদরোগ, ক্যান্সার এবং অন্যান্য জটিল স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। শুষ্ক মৌসুমে বিশেষত ঢাকার বায়ুতে সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ বাড়ে, যা বাতাসে ক্ষতিকর পদার্থের উপস্থিতি বাড়িয়ে দেয়।
অন্যদিকে, দিল্লি এখনও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, যেখানে একিউআই স্কোর ছিল ৩১২। একই ধরনের সমস্যা পাকিস্তান, উগান্ডা ও বাহরাইনেও চোখে পড়ছে, কিন্তু ঢাকার অবস্থা আশঙ্কাজনকভাবে অব্যাহত রয়েছে।
প্রতিদিনের বায়ু গুণমানের তথ্য জানিয়ে নাগরিকদের সচেতন করা এবং দূষণ কমানোর পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন, এখনই যদি কার্যকরী উদ্যোগ না নেওয়া হয়, তবে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে, যা জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য বিপদজনক হতে পারে।