দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় কৃষি জমির টপসয়েল কেটে ইটভাটাসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রির জন্য ওঠেপড়ে লেগেছে মাটি পাচার চক্র। পাশাপাশি টপসয়েল রক্ষায় তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন। সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউ.এন.ও) এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মিল্টন বিশ্বাস গত রাত ১২ টা হতে আজ ভোর রাত ৪টা পর্যন্ত সাতকানিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়েছেন। তিনি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতকানিয়া উপজেলার এঁওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা এলাকায় এবং কেঁওচিয়া ইউনিয়নের তেমুহানি এলাকায় কৃষি জমির টপসয়েল কাটার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। কিন্তু মোবাইল কোর্টের উপস্থিতি টের পেয়ে দুষ্কৃর্মকারীরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে দুটি স্কেভেটর আটক করা হয়েছে এবং পরবর্তীতে মাটি কাটার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় নিয়মিত মামলা করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে বলে উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মিল্টন বিশ্বাসের নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে সাতকানিয়া থানার পুলিশ সদস্যবৃন্দ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা সার্বিক সহযোগিতা করেন। জনস্বার্থে সাতকানিয়া উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জনাব বিশ্বাস জানিয়েছেন। প্রশাসনের অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় জনগণ। মাটি লুটের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আরো কঠোর আইনী পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছেন স্থানীয় সচেতন মহল। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মাটি লুটের কারণে কৃষি জমির উর্বর অংশ টপসয়েল বিনাশ হচ্ছে। কর্তিত জমি পুকুর হয়ে যাচ্ছে। পাশের জমি ভেঙ্গে যাচ্ছে। পুরো বিল ধ্বংস হয়ে কৃষির অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। রাস্তা ঘাট ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। মাটি লুটপাট নিরাপদ করতে নতুন সন্ত্রাসী দল গড়ে ওঠছে। পাশাপপাশি তৈরী হচ্ছে নতুন গডফাদার।