পুঠিয়ায় ইটভাটার পরিবেশগত সনদপত্র নেই

কে এম রেজা; পুঠিয়া, রাজশাহী | প্রকাশ: ১১ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৫:৪৮ পিএম
পুঠিয়ায় ইটভাটার পরিবেশগত সনদপত্র নেই
রাজশাহীর পুঠিয়ায় বেশিরভাগ ইটভাটার পরিবেশের সনদপত্র নেই। ভাটার মালিকরা সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর এবং উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমঝোতা করে ব্যবসা করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলায় ১৭টি ইটেরভাটা রয়েছে। চলতি বছরে ১১টি ভাটার কার্যক্রম চালু রয়েছে। আর মাত্র ৪টি ভাটার পরিবেশের সনদপত্র আছে। আর যে ৪টি ভাটার সনদ দেওয়া হয়েছে। তা আবার সঠিক ভাবে যাচাই-বাছাই করলে সনদ পাওয়া যোগ্য ইটভাটা না থাকার কথা। দীর্ঘদিন ধরে মোটাংকের টাকা প্রশাসনের মাঝে বিতারণ করে ইটভাটা চালায়ে আসছে। মানুষ দেখানো জন্য ভাটার সামনে কয়লা রাখা হয়েছে। কিন্তু ভাটাগুলি গভীর রাতে কয়লা পরিবর্তে কাঠ পোড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। অপরদিকে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ না থাকায়,ভাটাগুলি প্রতিদিন ফসলী জমির উর্বর অংশ কেটে এনে ভাটায় জমা করছে। হাতেগোনা দুুই/একটি ভাটা আধুনিক ভাবে কয়লা দিয়ে ইটপোড়ানো ব্যবস্থা রয়েছে। শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের আব্দুল মোমিন নামের ব্যক্তি বলেন,উপজেলা সদর থেকে এই ইউনিয়নের দুরত্ব একটু বেশি হওয়ার জন্য এবং ভাটাগুলি দেখভালের দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের গাফলতির কারণে,ফসলের মাঠের ভিতরে নিয়মভর্হিভূত ভাবে ইটভাটাগুলো গড়ে উঠেছে। ইটভাটার কালো ধোঁয়ার কারণে প্রতিবছর আমাদের এলাকায় বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এলাকার কিছু হাতে গোনা দু’চার জন ইটভাটার মালিকরা লাভবান হবে। কিন্তু শতশত ফসল উৎপাদনকারী চাষীরা ইটভাটার দ্বারায় ক্ষতির শিকার হচ্ছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ইটভাটার মালিক বলেন, রাজশাহী পরিবেশ অধিদপ্তর এবং উপজেলা প্রশাসনকে এক ভাটা প্রতি ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়ে ছিল। চলতি বছরে এসে তারা ৮০ হাজার টাকা করে নিবেন। একটু দেরি টাকা দেওয়াতে তিনদিন আগে উপজেলা সদরের দুই ভাটাতে পরিবেশ এবং উপজেলা প্রশাসন মিলে জরিমানা আদায় করেছেন। পুঠিয়া পৌরসভা পাশে একটি ইটভাটা নাম পরিবর্তন করে ভাটা চালু করা হয়েছে। তার নাম দিয়েছে এমএসবি। এলাকাবাসীরা বলছে,ভাটার ইটের আকার সঠিক নেই। তারপর ভাটার মালিকরা ইট তৈরির করার সময় ইটের ভেতর কী যেন পদার্থ মাটির সঙ্গে মিশ্রণ করে ইট পোড়াচ্ছে। যার কারণে নতুন ভাবে ঘববাড়ি নির্মাণ করার পর। কিছুদিনের ভিতর নোনা লেগে সিমেন্ট খুলে পড়ছে। এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক কবির হোসেন বলেন, ইটভাটার মালিকের সঙ্গে রাজশাহী পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনরকম অর্থনৈতিক লেন-দেন নেই। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম নুর হোসেন নির্ঝর বলেন,পরিবেশের স্বার্থে রাজশাহী পরিবেশের কর্মকর্তা এবং উপজেলা জেলা প্রশাসন মিলে দুইটি ইটভাটায় জরিমানা করা হয়েছে। আগামীতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে