রাবির পাঁচ হলে কোরআন পোড়ালো দুর্বৃত্তরা, তদন্ত কমিটি

এম এম মামুন; রাজশাহী | প্রকাশ: ১২ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৬:১২ পিএম
রাবির পাঁচ হলে কোরআন  পোড়ালো দুর্বৃত্তরা, তদন্ত কমিটি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক সাথে পাঁচটি আবাসিক হলে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। সৈয়দ আমীর আলী হল, শহীদ হবিবুর রহমান হল, মতিহার হল, মাদার বখ্শ হল ও শহীদ জিয়াউর রহমান হলে শনিবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময়ে দুর্বৃত্তরা পবিত্র কোরআন শরীফে অগ্নিসংযোগ করে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ ঘটনায় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহা. ফরিদ উদ্দিন খানকে আহবায়ক করে ৯ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তদন্ত কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রাথমিক ও সাত কর্মদিবসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এদিকে, ক্যাম্পাসে কোরআন শরীফ পোড়ানোর ঘটনায় রোববার দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে জরুরি প্রেস ব্রিফিং করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীব। এ সময় তিনি বলেন, এ ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক তাদের শনাক্ত করতে পারলে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। আমরা ইতোমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। এ ঘটনায় অপরাধীদের ছাড় দেওয়া হবে না।  বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য ছাত্রছাত্রী ও কর্মচারী-কর্মকর্তাদের প্রতি জানিয়ে উপাচার্য আরও বলেন, এই ন্যাক্কার জনক ঘটনার জন্য যা কিছু করার লাগে আমরা করব। এটা একটি উস্কানি ও গভীর ষড়যন্ত্র। আমরা এই ষড়যন্ত্রে পা না দিয়ে এর সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে চাই। জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর হল, আমির আলী হল, হাবিবুর রহমান হল ও মতিহার হলে চারটি কোরআন শরীফ পোড়ানো হয়। কোরআনগুলো হলের মসজিদে ছিল। সেখান থেকে বের করে নিয়ে গিয়ে হলের মাঝখানে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। তবে কারা এমন ন্যক্কারজনক কাজ করেছে তা এখনো জানা যায়নি। জড়িতদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার জন্য দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এমন ঘটনা ঘটিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির অপচেষ্টার প্রতিবাদে দুপুরে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছেন।
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে