লাইনচ্যুত বগি উদ্ধারের পর সাড়ে ৪ ঘন্টা পর স্বাভাবিক হয় রাজশাহীর সাথে সারাদেশের রেল যোগাযোগ। বেলা সোয়া এগারোটার দিকে উদ্ধারের পর বেলপুকুর থেকে তিতুমীর এক্সপ্রেসটি ট্রেনটি চিলাহাটির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ৬ টা ২০ মিনিটে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে চিলাহাটির উদ্দেশ্যে ট্রেনটি যাত্রা শুরু করে। সকাল সাড়ে ৬ টা ৪০ মিনিটে বেলপুকুর রেলগেটে পৌঁছালে চার নম্বর বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়।
রেল বিভাগ জানিয়েছে, ১১ টা বগি নিয়ে ট্রেনটি যাত্রা করে সকালে। পথে বেলপুকুর এলাকায় আসলে মাঝের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এর পরে ট্রেনটি থেমে যায়। এতে করে সারাদেশের সাথে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ে। ঘন্টা তিনেক পর ঈশ্বরদী থেকে আসা রিলিফ ট্রেন লাইনচ্যুত বগি উদ্ধার করে।
পাকশী রেলওয়ে ডিভিশনের ডিভিশনাল ট্রান্সপোর্ট ম্যানেজার হাসিনা খাতুন বলেন, কেন বগি লাইনচ্যুত হয়েছে তা তদন্ত না করে বলা যাবে না। তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী বনলতা এক্সপ্রেস ও সিল্কসিটি এক্সপ্রেস রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে এবং মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনটি হরিয়ান স্টেশনে আটকা পড়ে। পরে লাইন ক্লিয়ারের পর পৌনে পাঁচ ঘণ্টা বিলম্বে পৌনে ১২টার দিকে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেন ছাড়ে। এর আগে হরিয়ান স্টেশন থেকে খুলনা হয়ে ঢাকাগামী মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনটি হরিয়ান স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়।
রাজশাহীর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার শহিদুল আলম বলেন, ট্রেনটি সকাল ৬টা ২০ মিনিট রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছাড়ে। হরিয়ান স্টেশন পার হওয়ার পর বেলপুকুরে ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এর ফলে সারাদেশের সাথে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ে। ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ার কারণে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী বনলতা এক্সপ্রেস ও সিল্কসিটি এক্সপ্রেস রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে এবং ও মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনটি হরিয়ান স্টেশনে আটকা পড়ে। বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন ছাড়ার নির্ধারিত সময় সকাল ৭টা এবং সিল্কসিটি ট্রেনের ৭টা ৪০ মিনিটে ছাড়ার নির্ধারিত সময় ছিলো। ট্রেন না ছাড়ায় যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এছাড়া খুলনাগামী মহামন্দা এক্সপ্রেস ট্রেনটিও রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে আটকা পড়ে যায়।