দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় গতকাল সোমবার সকাল ১১টায় বিভিন্ন মাঠে দেখা যাচ্ছে আলু চাষীরা ক্ষেতে পরিচর্যা করছেন। আলু চাষীরা বলছেন আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে আলুর ফলন ভালো হবে। এদিকে কৃষি বিভাগ মনে করছেন, বর্তমানে আবহাওয়া ভালো থাকায় আলুর বাম্পার ফলনের আশা করছেন। বর্তমানে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে মাঠে ২২ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে।
কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৪ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে বলে কৃষি বিভাগ জানান। এবার আলুর বীজ ও বিভিন্ন উপকরনের দাম বেশী থাকার পরেও আলু চাষীরা ব্যাপক হারে আলুর আবাদ করেছেন। এই কারণে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। এই সব আলুর মধ্যে রয়েছে উচ্চ ফলনশীল উফশী জাতের ও স্থানীয় জাতের আলু রয়েছে। গতকাল উপজেলার হাটিয়ারী, শাহাপুর, বাইশপুর ও পানিগাঁও সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে মাঠে মাঠে আলু চাষীরা আলু ক্ষেতে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউবা গাছের গোড়ায় সার দিচ্ছেন কেউবা জমিতে পানি দিচ্ছেন আবার কোন কোন আলুর ক্ষেতে বালানাশক স্প্রে করছেন আলু ক্ষেতকে রক্ষার জন্য। পাহাড়পুর গ্রামের কৃষক অনীল চন্দ্র বলেন, এখন পর্যন্ত আলুর ক্ষেতে কোন সমস্যা পরিলক্ষিত হয়নি। মাঝে মাঝে দুই একটি গাছে গোড়া পচন দেখা দিয়েছে। তবে এটার জন্য কৃষি বিভাগ পচন রোধের জন্য স্প্রে দিতে বলেছে। পাহাড়পুর গ্রামের আলু চাষী সবুজ বলেন, তিনি মানুষের জমি বরগা নিয়ে আলু চাষ করেছেন ৩ বিঘা জমিতে। বর্তমানে আলুর বয়স হয়েছে প্রায় ২ মাস আরও ১ মাস পর আলুগুলি জমি থেকে তোলা হবে। গতবারের তুলনায় এবার আলু আবাদে খরচ বেশী পড়েছে। একই গ্রামের কৃষক পুলিন চন্দ্র বলেন, আলুর ফলন ভালো হলে লাভ হবে বলে আশা করছেন।
কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা মল্লিকা রাণী সেহানবীশ বলেন, বাজারে আলুর বীজের বাজার চড়া থাকার কারণে চাষীরা এবার আলু চাষে বেশী উতসাহিত হয়েছেন। কেননা গতবারের তুলনায় এবার বাজারে আলুর দাম বেশী পেয়েছে। তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত কোন সমস্যা হয়নি বর্তমানে যে আবহাওয়া বিরাজমান থাকলে আলুর ফলন ভালো হবে বলে আশা করছেন তিনি। তিনি আরও বলের, মাঠ পর্যায়ে দায়িত্বরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষনিক আলু ক্ষেত পর্যবেক্ষন করছেন এবং চাষীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।