রাজশাহীর তানোরে সাইনবোর্ড দিয়ে স্থানীয় বিএনপির কয়েকজন নেতা সরকারি খাসপুকুর ভরাট করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সচেতন গ্রামবাসীর এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউএনও’র নির্দেশে এসিল্যান্ড রোববার দুপুরে পুকুর ভরাট কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। তবে, সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যানের গোপন ইন্ধনে রোববার দিবাগত গভীর রাতেও কিছু অংশ আবারও ভরাট করা হয়েছে।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাধাইড় ইউপির হাপানিয়া গ্রামে তিন বিঘা পরিমানের একটি পুকুর সাইনবোর্ড দিয়ে এক সপ্তা আগে ভরাট শুরু করেন স্থানীয় বিএনপির প্রভাবশালীরা। এমন পুকুরের ৫৬ শতক সরকারি ভেস্টেড প্রপার্টি। আর বাকি অংশ ব্যক্তি মালিকানা। তবে, পাড় ভেঙ্গে দ্বিগুন হয়েছে পুকুরটি। কাগজে যার শ্রেণি ভিটা ও ডোবা। এমন পুকুরটি রাতারাতি ভরাট শুরু করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের গুসনা বিলবর গ্রামের বেলাল উদ্দিনের পুত্র বদর আলী, শ্রীসুশান্ত, নামো শঙ্করবাটি গ্রামের নাসির ও তানোর উপজেলার খাড়িকুল্লা এলাকার মৃত ইসমাইল আলীর পুত্র বিএনপি নেতা সেলিম উদ্দিন।
ওই পুকুর ভরাটে প্রশাসন ম্যানেজ ও গোপন ইন্ধন আড়ালে রয়েছেন বাধাইড় ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান হেনা। পরে স্থানীয়রা এমন পুকুর ভরাট বন্ধে ইউএনওকে অভিযোগ দেন। এরপরও ইউনিয়ন ভূমি অফিস ম্যানেজ করে খাসপুকুর ভরাট শুরু করা। সেখানে প্লট আকারে জমি বিক্রির সাইনবোর্ড ঝুলিয়েছে ওই সিন্ডিকেট। তবে, সাবেক ইউপির চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান হেনা গোপন ইন্ধন আড়ালে নয়, তিনি সাংবাদিক ও প্রশাসন ম্যানেজ করে তাদের সামান্য অংশ ভরাটের জন্য পথ দেখান বলে জানান। তার এমন কলরেকর্ড এ প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষণ রয়েছে।
এবিষয়ে উপজেলা ভূমি অফিসের এসিল্যান্ড মাশতুরা আমিনা বলেন, স্থানীয়দের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউএনও স্যারের নির্দেশে রোববার ঘটনাস্থলে গিয়ে পুকুর ভরাট বন্ধ করা হয়। এছাড়াও সংশ্লিষ্টদের অফিসে ডাকা হয়েছে। এখন যদি আবারও ওই পুকুর ভরাট কার্যক্রম শুরু করা হয় তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এব্যাপারে তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) খায়রুল ইসলাম বলেন, পুকুর ভরাটের বিষয়ে অবগত হয়ে এসিল্যান্ড সাহেবকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। ই/তা
রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০শে অগ্রহায়ণ ১৪৩২
