চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন বাংলাদেশ পুলিশের ৪০তম ক্যাডেট ব্যাচের অব্যাহতি পাওয়া ৩২১ জন শিক্ষানবিশ উপপরিদর্শক (এসআই)। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে রাজধানীর সচিবালয়ের সামনে তারা এ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
আন্দোলনকারীদের দাবি, যথাযথ আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত অনশন চলবে। প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচির হুমকিও দিয়েছেন তারা।
অব্যাহতি পাওয়া এসআইদের অভিযোগ, ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর থেকে চলমান প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়ার পর, নানা অজুহাতে তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বলেন, “ট্রেনিং সম্পন্ন করেও আমরা পোস্টিং পাইনি। বরং চারটি ধাপে মোট ৩২১ জনকে বাদ দেওয়া হয়েছে।”
তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ছোটখাটো কারণ দেখিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেমন- নাস্তা না খাওয়ার কারণে ২০৩ জন, মাঠে কমান্ড অমান্য করার অভিযোগে ৪৯ জন, ক্লাসে অমনোযোগী থাকার জন্য ৫৮ জন, মার্চিং না করার জন্য তিন জন এবং মাঠে হইচই করার অভিযোগে আট জনকে বাদ দেওয়া হয়।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল থেকে তারা সচিবালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমরণ অনশনের ঘোষণা দেন। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তাদের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল জনপ্রশাসন সচিবের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেয়। তবে ওই বৈঠকে কোনো সুরাহা না হওয়ায় তারা আমরণ অনশন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।
অন্যায়ভাবে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার অভিযোগ তুলে এসআই আলমগীর হোসেন বলেন, “আমাদের পুনর্বহালের দাবিতে এর আগেও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করেছি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচির সময় আমাদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রসচিব দেখা করেন এবং আশ্বাস দেন। কিন্তু আজও কোনো পদক্ষেপ দেখতে পাচ্ছি না।”
অন্যদিকে আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, তাদের দাবি উপেক্ষা করা হলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবেন।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে তাদের অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের দাবি আদায়ের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিশ্রুতি বা আশ্বাসের ঘোষণা দেওয়া হয়নি।