রাজশাহী মোহনপুর উপজেলায় মাদক সেবী সন্দেহে এক ব্যক্তির হাতে সোর্সের মাধ্যমে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে আটক করা হয়। এক পর্যায়ে মোটা অংকের টাকা দাবি করায় জনতার তোপের মুখে দৌড়ে পালিয়ে যায় পুলিশের এসআইসহ তিন সোর্স।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে মোহনপুর উপজেলার পিয়ারপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোহনপুর থানার এসআই (নিরস্ত্র) মো: আব্দুল হাই তিনজন সোর্স মো: লিটন মাহমুদ (৩৫), বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী হতে চাকরিচ্যূত কং মো: বাবুল আক্তার (২৮) ও মো: জামিল হোসেনকে সাথে নিয়ে মঙ্গলবার রাতে উপজেলার পিয়ারপুর আদিবাসীপাড়া গিয়ে ডিবি পরিচয়ে ৪/৫ জন আদিবাসীর কাছ থেকে টাকা আদায় করে। ফেরার পথে পিয়ারপুর গ্রামে আক্কাস আলীর ছেলে ওয়াকিব হাসান(২৮) হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে আটক করে পুলিশের সোর্স। এরপর কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করায় ওয়াকিব হাসানকে আটক করে থানায় নিয়ে আসার সময় স্থানীয় লোকজন পুলিশের এসআই আব্দুল হাইসহ তিন সোর্সকে ঘিরে ফেলে। ওই সময় এসআই আব্দুল হাই তিন সোর্সকে নিয়ে হ্যান্ডকাফ পরা ব্যক্তিকে রেখে দৌড়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে মোহনপুর থানার এ এসআই নজরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে জনতার সামনে ওয়াকিব হাসানকে ছেড়ে দিয়ে এসআই আব্দুল হাইকে থানায় নিয়ে আসে।অভিযুক্ত মোহনপুর থানার এসআই আব্দুল হাই এর সাথে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
জানতে চাইলে মোহনপুর থানার এএসআই নজরুল ইসলাম বলেন, ওসি স্যারের নির্দেশক্রমে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। কোন কিছু জানতে চাইলে মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সমান্য ঘটনা ঘটেছিল। পরে স্থানীয় লোকজন সাথে আলোচনা করে সমাধান করা হয়েছে। ওয়াকিব হাসানকে কেন হ্যান্ডকাফ পরানো হয়েছিল। সেই বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।