রাজশাহীর তানোরে সাইনবোর্ড দিয়ে খাসপুকুর ভরাটের খবর প্রকাশের পর অবশেষে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ১৪ জানুয়ারী মঙ্গলবার উপজেলার মুন্ডুমালা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের এক উপ-সহকারী কর্মকর্তা বাদী হয়ে দুইজনকে আসামী করে তানোর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। কিন্তু এমন মামলা রুজু করার চারদিনেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাধাইড় ইউপির হাপানিয়া গ্রামে তিন বিঘা পরিমানের একটি পুকুর সাইনবোর্ড দিয়ে ভরাট শুরু করেন স্থানীয় বিএনপির প্রভাবশালীরা। এমন পুকুরের ৫৬ শতক সরকারি ভেস্টেড প্রপার্টি। আর বাকি অংশ ব্যক্তি মালিকানা।
এমন পুকুর ভরাটের খবর পত্রিকায় প্রকাশের পর টনক নড়ে কর্তৃপক্ষের। ফলে এসিল্যান্ডের নির্দেশে মুন্ডুমালা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা সাহাদাৎ হোসেন বাদি হয়ে তানোর থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় আসামী করা হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমনুরা এলাকার গুশিরাপুকুর ধীনগর গ্রামের বাসিন্দা বেলাল উদ্দিনের পুত্র বদর আলী (৪৬) ও একই এলাকার তেলিপাড়া নামোশংবাটীর বাসিন্দা মৃত অধীরের পুত্র শ্রী সুশান্তকে (৪৭)।
স্থানীয়দের অভিযোগ, খাসপুকুর ভরাটের মুলহোতা ও ইন্ধনদাতা বাধাইড় ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান হেনা ও বিএনপি নেতা সেলিম উদ্দিন। কিন্তু মুন্ডুমালা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা সাহাদাৎ হোসেন তাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মামলায় হেনা ও সেলিমের নাম দেয়নি। তবে, এব্যাপারে সাহাদাৎ হোসেন এড়িয়ে গিয়ে বলেছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উপর মহলের নির্দেশ মোতাবেক থানায় মামলা করা হয়েছে।
এব্যাপারে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান মিজান বলেন, ঘটনাটি নিয়ে থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এসআই সনাতন হলদারকে মামলাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু তিনি জুরুরি কাজে বাইরে অবস্থান করায় কেউ গ্রেফতার হয়নি বলে জানান ওসি। ই/তা