নোয়াখালী হাতিয়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষে একই পরিবারের ৬ জন আহত হয়। আহতদের নিয়ে স্বজনরা চিকিৎসা নিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এলে পুনরায় তাদের উপর হামলা করে সন্ত্রাসীরা। এতে চট্রগ্রাম থেকে আহতদের দেখতে আসা দুজন গুরুতর আহত হন। এই ঘটনায় সোমবার বিকালে আহত নুর উদ্দিনের স্ত্রী রিনা বেগম থানায় লেখিত অভিযোগ দিয়েছে। আহতরা হলো হাতিয়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নুর ইসলামের ছেলে নুর উদ্দিন (৪০), নুর আলম (৩৫),একই গ্রামের সুলতান আহমদ এর ছেলে নুর ইসলাম (৫৫) তার স্ত্রী ঝর্না বেগম (৫০) পৌরসভা ৭ নং ওয়ার্ড কামাল উদ্দিনের স্ত্রী মিনারা বেগম (৫০) ও সাকিল (২২)। স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন থেকে জমি নিয়ে নুরুল আমিন ও নুর ইসলাম দুই ভায়ের ছেলেদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। ঘটনার দিন রোববার বিকালে তুচ্চ ঘটনাকে কে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে নুরুল ইসলাম, তার ছেলে ও ছেলে বৌ আহত হয়। পরে তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এই দিগে চট্রগ্রামে থাকা নুরুল ইসলামের দুই ছেলে আহত পিতা-মাতা ও ভাবিকে দেখতে আসেন সোমবার সকালে। তারা হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রধান পটকে এলে তাদের উপর আক্রমন করে সস্ত্রাসীরা। এতে নুর আলম ও সাকিল দুই ভাই আহত হয়। এদের মধ্যে নুর আলমের হাত ও পায়ের হাড় ভেঙে যাওয়ায় তাকে জেলা সদরে পাঠানো হয়েছে। এই বিষয়ে নুর ইসলামের ছেলে বৌ রিনা বেগম জানান, সকালে সন্ত্রাসীরা হাসপাতালের সামনে তার দেবরদের উপর আক্রমন করেন। সংবাদ পেয়ে হসপিটালে ভর্তি থাকা নুর ইসলাম ছেলেদের বাচাতে এলে তাকেও পিঠিয়ে পা ভেঙ্গে দেন সন্ত্রাসীরা। এই ঘটনায় আহত অবস্থায় দু'ভাই ভয়ে নৌবাহিনীর ক্যাম্পে চলে যায়। পরে নৌবাহিনীর সহযোগিতায় তারা হসপিটালে ভর্তি হয়। এদিগে তার দেবর ও শশুরের অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় তাদেরকে ডাক্তার পরামর্শ অনুযায়ী জেলা সদর হসপিটালে পাঠানো হয়। এই ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি লেখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান রিনা বেগম। এই বিষয়ে অভিযুক্ত নুরুল আমিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যাস্ত আছেন বলে ফোন কেটে দেন। এই ঘটনার বিষয়ে হাতিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে এম আজমল হুদা বলেন, দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একই পরিবারের ৬ জন আহত হয়েছেন বলে শুনেছি। রিনা বেগম নামে একজন বাদি হয়ে একটি লেখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।