আগৈলঝাড়ায় দশ জুয়ারিকে আটক

এফএনএস (বরিশাল প্রতিবেদক) : : | প্রকাশ: ২২ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৫:১৫ পিএম
আগৈলঝাড়ায় দশ জুয়ারিকে আটক

বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের পশ্চিম বাকাল গ্রামে মঙ্গলবার রাতে জুয়া খেলার সময় ১০ জুয়ারিকে টাকাসহ পুলিশ আটক করেছে। এসময় জুয়ারিদের কোর্টে ও সাথে থাকা এক লাখ টাকা নিয়ে গেছে পুলিশ। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু না করে তাদের স্বজনদের কাছ থেকে আরও ৭৫ হাজার টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। পরে পুলিশ আটককৃতদেরকে আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে ভ্রাম্যমান আদালতে দশ জনকে এক হাজার টাকা জরিমানা করে মুক্তি দিয়েছে।স্থানীয় ও ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে দশটার দিকে উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের পশ্চিম বাকাল গ্রামের জলিল ফকিরের মাছের ঘেড়ের পাড়ে একদল জুয়ারী জুয়াখেলা অবস্থায় আগৈলঝাড়া থানার এসআই সমীর রায়, এএসআই রিয়াজ ও এএসআই অনুপ কুমার বিশ্বাসের নেতৃত্বে পুলিশের একটি  দল অভিযান পরিচালনা করে। এসময় দশজন জুয়ারিকে আটক করা হয়। জুয়ারিদের কোর্টে ও সাথে থাকা এক লাখ টাকা নিয়ে যায় পুলিশ। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু না করার জন্য তাদের স্বজনদের কাছ থেকে আরও ৭৫ হাজার টাকা নিয়েছে পুলিশ। ওই রাতেই আটককৃত আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে জাকির হোসেন, বাকাল গ্রামের জুরান ফকিরের ছেলে শামীম ফকির, সেকেন্দার ফকিরের ছেলে সেলিম ফকির, সালমান ফকিরের ছেলে মানিক ফকির, মো. নুরুল হকের ছেলে আমিনুল ইসলাম, পূর্ব সুজনকাঠী গ্রামের আবুল কাসেম মোল্লার ছেলে কামাল মোল্লা,  হাবিবুর রহমানের ছেলে পিন্টু মোল্লা, তালতা গ্রামের নুরুল হক সরদারের ছেলে মোস্তফা সরদার, চলবল গ্রামের বিশ্বনাথ হালদারে ছেলে শ্যামল হালদার, রামশীল গ্রামের হরেন রায়ের ছেলে নয়ন রায়কে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ফারিহা তানজিন প্রত্যেককে এক শত টাকা করে এক হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। এ ব্যাপারে আটককৃত শ্যামল হালদার, নয়ন রায়, মানিক ফকির ও নামপ্রকাশ্যে অনিচ্ছুক আটককৃতদের একজনের আত্মীয় সাংবাদিদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ খেলার কোট থেকে এক লাখ টাকা নিয়েছে। এছাড়াও  মামলা নিবেনা বলে আরও ৭৫ হাজার টাকা নিয়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশের এসআই সমীর রায় ও  অনুপম কুমার বিশ্বাস বলেন, রাতে আমরা অভিযান চালিয়ে দশজন জুয়াড়িকে আটক করেছি। এসময় তাদের জুয়ারকোর্ট থেকে ৫ হাজার ২৬০ টাকা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত টাকা আদালতের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে জুয়ার কোর্ট থেকে ১ লাখ ও আটককৃতদের কাছ থেকে ৭৫ হাজার টাকা নেওয়ার হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। এবিষয়ে আগৈলঝাড়া থানার ওসি (তদন্ত) সুশংকর মল্লিক বলেন, আমরা জুয়ারীদের আটক করে ইউএনওর মাধ্যমে ভ্রাম্যমান আদালতে তাদের জরিমানা করে ছেড়ে দিয়েছি। আমাদের কোন পুলিশ যদি আটককৃতদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে থাকে তার প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে বরিশালের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরনদী সার্কেল) শারমিন সুলতানা রাখি বলেন, কোন পুলিশ যদি অপরাধ করে থাকে বিষয়টি তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে