গত ৩দিন ধরে ঘন কুয়াশা ও শীতের তীব্রতায় কুড়িগ্রামের রাজারহাটের মানুষ চরম বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত দু’দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলেনি। তবে বৃহস্পতিবার(২৩ জানুয়ারী) সকাল ১০ টার দিকে সূর্যের মুখ দেখা গেলেও কিছুক্ষণ পর ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে যায়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে শীতের তীব্রতাও বাড়তে থাকে। শির শির হিমেল হাওয়ায় কাজে বের হওয়া মানুষগুলো পড়েছে চরম বিপাকে। হঠাৎ করে ঠান্ডা নেমে আসায় মানুষ কাহিল হয়ে পড়েছে। নিরুপায় হয়ে মানুষজন গরম কাপড়ের দোকান গুলোতে ভীড় করছে। শিশু-বৃদ্ধরা সর্দি কাশি, জ্বর ও শীত জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে রাজারহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানিয়েছে। তবে ঠান্ডায় কেউ মারা যায় নি বলে হাসপাতালের আরএমও ডাঃ বিউটি বেগম নিশ্চত করেছেন। উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চর বিদ্যানন্দ নামাপারার বাসিন্দা বানু মামুদ(৬৫) বলেন, মুই মানুষের কাম করি খাং। এবার এতো জাড়, গাও পাও জারতে ঠর ঠর করি কাঁপছে। মুই জাড়ের জন্যে আলু তুলবারও যাং নাই। তিস্তা নদীর হালাউ হালাউ বাতাসে ঘর থাকি বাইরে বেরা যায় না বাহে। রাজারহাট উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, এবারে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে প্রায় ৫হাজার ৪’শ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, বৃহস্পতিবার(২৩জানুয়ারী) রাজারহাট উপজেলায় ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গত বুধবার রাজারহাটের তাপমাত্রা ছিল ১২দশমিক ৩ডিগ্রী সেলসিয়াস। আগামী ২৪ঘন্টায় তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।