ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে কোন ভাবেই বন্ধ হচ্ছে না সরকারি খাল দখলের প্রতিযোগিতা। সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কের সরাইল সদরের বড্ডাপাড়া নামক এলাকায় সরকারি খাল দখলে নিয়ে ইচ্ছেমত ভরাট করছেন জীবন মিয়া। বিশাল প্রস্থের খালটিতে ৩-৪ ফুট প্রস্থের একটি কার্লভার্ট করে দখলের পক্রিয়া সারছেন তিনি। কর্তৃপক্ষের অনুমতির বিষয়ে জানতে চাইলে জীবন মিয়া উচ্চস্বরে বলেছেন, অনুমতি নয়, আপনাদের কাজ আপনারা করূন। আমি রোডসের সাথে বুঝব। সরজমিন অনুসন্ধান ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, সরাইল সদরের বড্ডাপাড়া এলাকায় সড়ক সংলগ্ন সরকারি খালটি নানা কৌশলে দীর্ঘদিন ধরে গিলছে এক শ্রেণির দখলদাররা। তারা সংশ্লিষ্ট দফতরের কতিপয় অসৎ কর্মকর্তা কর্মচারিকে ম্যানেজ করেই দখলের পক্রিয়া করছেন। নামমাত্র একটি ছোট কার্লভার্ট করে এখন ট্রাক দিয়ে মাটি এনে শ্রেণি পরিবর্তন করে খালটি ভরাটে করছেন। ভরাট সারতে পারলে করবেন পাকা বা সলিং। কিছু দিন পর কিছু আড়াল হয়ে যাবে। সরকারি জায়গার মালিক হয়ে যাবেন ব্যক্তি বিশেষ। গড়ে তুলবেন হাট বাজার বা বহুতল ভবন। আর । এ ভাবেই ধীরে ধীরে ছোট বা বন্ধ হয়ে আসছে পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা। আশপাশের কৃষকরা কৃষি কাজের জন্য আগের মত সহজ উপায়ে আর পানি পাচ্ছেন না। খাল দখল ও ভরাটের কোন অনুমতি নিয়েছেন কিনা জানতে চাওয়া মাত্র কিছুটা উত্তেজিত হয়ে পড়েন জীবন ভাই। তিনি উচ্ছস্বরে সাফ জানিয়ে দেন, অনুমতি নয় রোডসের সাথে তিনিই বুঝবেন। সরাইল উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সিরাজুম মুনীরা কায়ছান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। সরজমিনে দেখে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা।