বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মূলত আরেকটি এক-এগারো সরকারের ইঙ্গিত বহন করে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘‘বিএনপির মহাসচিবের সাম্প্রতিক বক্তব্যে এমন ইঙ্গিত স্পষ্ট যে, তারা নিরপেক্ষ সরকারের নামে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আরেকটি এক-এগারো সরকারের পরিকল্পনা করছে। এটি গণতন্ত্র, জাতীয় স্বার্থ ও ছাত্র-জনতার চেতনার বিপক্ষে।’’
তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপি ‘মাইনাস টু’ আলোচনা থেকে সরে এসে এখন ক্ষমতায় যাওয়ার পথ সুগম করতে চাইছে। তবে এ ধরনের পরিকল্পনা ছাত্র-জনতা ও সচেতন মহল মেনে নেবে না।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া একটি স্ট্যাটাসে নাহিদ ইসলাম দাবি করেন, ‘‘এক-এগারো সরকারের সময় জাতীয় সরকারের প্রয়োজনীয়তা থাকলেও বিএনপি তাতে সম্মতি দেয়নি। অথচ এখন তারা নিরপেক্ষ সরকারের দাবি তুলেছে, যা মূলত আরেকটি জরুরি সরকারের জন্য ষড়যন্ত্র।’’
তিনি আরও লেখেন, ‘‘সরকারে বিএনপিপন্থী অনেক লোক রয়েছেন। নির্বাচনের নিরপেক্ষতার কথা বললে এই বাস্তবতাও মাথায় রাখতে হবে।’’
এর আগে, বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘‘যদি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ হয়, তাহলেই তারা নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করতে পারবে। তা না হলে নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন হবে।’’
এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের নেতৃত্বকে মাইনাস করার পরিকল্পনা দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। বর্তমান সরকারের প্রকৃতি এবং ছাত্রদের ভূমিকা এক-এগারোর সরকারের থেকে ভিন্ন। বিএনপির উচিত গণতন্ত্র ও ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষাকে সম্মান জানানো।’’
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘‘বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ নিয়ে ঐক্য গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। অথচ ভারতের প্রধান দলগুলো ঐক্য করেছে। এ ধরনের বিভাজন বাংলাদেশকে দুর্বল করে। দেশের বড় বড় মানুষ অল্পমূল্যে বিক্রি হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে।’’
নাহিদ ইসলাম বিএনপির দেশপ্রেমিক ও ত্যাগী নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে না গিয়ে বৃহত্তর ঐক্য এবং সংহতির পথ বেছে নেয়।