রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের মীরগঞ্জের মহদিপুর হিলালপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকরা। তার দুর্নীতির প্রতিবাদে বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিদ্যালয়ের সামনে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আফম হাসানকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে তদন্তের রিপোট জমা দেওয়া নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিয়োগ বাণিজ্য, অনিয়ম, দুর্নীতি ও অনৈতিকভাবে বিদ্যালয় পরিচালনা করতেন প্রধান শিক্ষক। কিছুদিন আগে বিদ্যালয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়। টাকা নিয়ে তাদের নিয়োগ দেন প্রধান শিক্ষক। নিয়োগের টাকা দিয়ে বিদ্যালয়ের উন্নয়নের দাবি করেন শিক্ষকরা। এতে রাজি হননি প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেক। একপর্যায়ে শিক্ষকরা ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার ধাক্কাতে ধাক্কাতে বিদ্যালয় থেকে তাকে বের করে দেন। এ ঘটনার পর শিক্ষক, কর্মচারী ও স্থানীয়রা মিলে আবদুল খালেকের বিচারের দাবিতে ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের বিষয়ে আবদুল খালেক বলেন, ‘সহকারী শিক্ষকরা কিছু সময়ে অযৌক্তিক দাবি করে। প্রধান শিক্ষক হিসেবে সামর্থ্যের মধ্যে তাদের দাবি পূরণের চেষ্টা করি। কিন্তু কিছু দাবি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মানা সম্ভব না হলে তারা সবাই একত্রিত হয়ে অকথ্য ভাষায় কথাবার্তা বলে। সোমবার তারা একত্রিত হয়ে মারপিট করে ধাক্কাতে ধাক্কাতে বিদ্যালয় থেকে আমাকে বের করে দেয়। এ বিষয়ে ইউএনও শাম্মী আক্তার বলেন, ‘আবদুল খালেকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে তদন্তের রিপোট জমা দেওয়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্তের রিপোট পেলে প্রধান শিক্ষকের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।