যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আদালত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের সিয়াটল ফেডারেল ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের বিচারক জন কফেনৌর এই আদেশ দেন। তিনি ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক বলে মন্তব্য করেছেন।
ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর একাধিক নির্বাহী আদেশ জারি করে, যার মধ্যে অন্যতম ছিল যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া নথিপত্রহীন অভিবাসীদের সন্তানদের নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার বাতিল করা। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনীর সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে আদালত মন্তব্য করে। আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, সংবিধানের এই ধারা কোনো প্রেসিডেন্টের একক সিদ্ধান্তে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল নিক ব্রাউন এবং তিনটি ডেমোক্র্যাটিক শাসিত অঙ্গরাজ্যের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক কফেনৌর এই স্থগিতাদেশ জারি করেন। মামলাটিতে যুক্তরাষ্ট্রের ২২টি অঙ্গরাজ্য, দুটি শহর এবং বেশ কয়েকটি নাগরিক অধিকার সংগঠন ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।
ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে আদালতে যুক্তি দেওয়া হয় যে, নির্বাহী আদেশটি সংবিধানের ‘সঠিক ব্যাখ্যা’ প্রদান করছে এবং রাজ্যগুলোর তাৎক্ষণিক কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে আদালত সেই যুক্তি নাকচ করে আদেশটি সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয়।
আদালতের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে মামলাকারী অঙ্গরাজ্যগুলো। অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল ক্রিস মায়েস বলেন, ‘কোনো প্রেসিডেন্টের একক ক্ষমতায় সংবিধান পরিবর্তন করা সম্ভব নয়, এবং আজকের রায়ের মাধ্যমে সেটাই প্রমাণিত হলো।’
এদিকে, ট্রাম্প প্রশাসন আদালতের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করার ঘোষণা দিয়েছে এবং আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।