প্রাথমিক শিক্ষকদের দশম গ্রেড দাবি, পদযাত্রায় পুলিশের বাধা

নিজস্ব প্রতিবেদক
| আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০৫:০৪ পিএম | প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৬:২৯ পিএম
প্রাথমিক শিক্ষকদের দশম গ্রেড দাবি, পদযাত্রায় পুলিশের বাধা

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা দশম গ্রেডের বেতন স্কেলের দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও পদযাত্রা করেছেন। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশের পর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করলে পুলিশ তাদের শাহবাগ থানার সামনে আটকে দেয়।

সকাল ১০টা থেকে শহীদ মিনারে সমবেত হন দেশের বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তারা দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে শপথ পাঠ করেন এবং বলেন, নিজেদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে তারা কোনো আপস করবেন না।

সমাবেশে শিক্ষকরা বিভিন্ন স্লোগান দেন, যেমন: ‘এক দফা, এক দাবি, শিক্ষকদের ১০ গ্রেড’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, শিক্ষক সমাজ জেগেছে’। তাদের দাবি, বর্তমানে ১৩তম গ্রেডে শিক্ষকদের বেসিক বেতন ১১ হাজার টাকা, যা দশম গ্রেডে উন্নীত হলে তা ১৬ হাজার টাকায় দাঁড়াবে। শিক্ষকদের মতে, তাদের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়েছে, যা তাদের মর্যাদার পরিপন্থী।

দুপুরে সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার জন্য সময়সীমা বেঁধে দিলেও, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো প্রতিনিধি না আসায় শিক্ষকরা পদযাত্রা শুরু করেন। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।

শাহবাগ থানার ওসি মো. খালিদ মনসুর বলেন, ‘শিক্ষকরা স্মারকলিপি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে যেতে চেয়েছিলেন, তবে আমরা তাদের বুঝিয়ে নিবৃত করেছি। পরে পুলিশের সহযোগিতায় তাদের একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে গিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেছে।’

পুলিশি বাধার পর শিক্ষকরা শাহবাগেই অবস্থান নেন এবং সেখানে বক্তব্য দিতে থাকেন। বিকেলে প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তারা সেখানে ছিলেন, ফলে আশপাশের যান চলাচলে ধীরগতি সৃষ্টি হয়।

শিক্ষকদের বক্তব্য, বিভিন্ন সরকারি পদের তুলনায় তারা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। তারা উল্লেখ করেন, পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা একই শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকার পরও ১০ম গ্রেডে বেতন পান, অথচ সাধারণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেডে রাখা হয়েছে। এছাড়া, অন্যান্য সরকারি পেশার (যেমন নার্স, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, পুলিশ এসআই) তুলনায় তাদের বেতন কাঠামো বৈষম্যমূলক।

আন্দোলনরত শিক্ষকরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে