বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুরের ব্যক্তিগত লকার খুলতে ৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চেষ্টা করেও সফল হয়নি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাত সদস্যের দল। রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ দুদকের পরিচালক কাজী মো. সায়েমুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি দল বাংলাদেশ ব্যাংকে উপস্থিত হয়। তবে রাত ৭টা পর্যন্তও লকারটি খোলা সম্ভব হয়নি বলে জানা গেছে।
দুদকের একটি সূত্র জানায়, লকারটি খোলার প্রক্রিয়ায় নানা জটিলতা দেখা দেয়, যার ফলে দীর্ঘ সময় পার হলেও সেটি খুলতে পারেনি তদন্ত দল। তবে লকারটি খোলার জন্য আরও আইনি ও কারিগরি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে বলে জানিয়েছে দুদক।
এর আগে, গত ১৯ জানুয়ারি দুদক এস কে সুরের ধানমণ্ডির বাসা থেকে ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা ও সাড়ে চার কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটের নথি উদ্ধার করে। তখনই বাংলাদেশ ব্যাংকে তার নামে তিনটি লকার থাকার তথ্য পাওয়া যায়। আদালতের অনুমতি নিয়ে দুদক সেগুলো খুলতে যায়।
এস কে সুরের বিরুদ্ধে আলোচিত পি কে হালদারের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় সহযোগিতা ও সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় ২০২২ সাল থেকে তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে দুদক। তিনি ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরের পদ থেকে অবসরে যান এবং পরবর্তীতে উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন।