আজ সোমবার (২৭ জানুয়ারি) পবিত্র শবে মেরাজ, হিজরি বর্ষপঞ্জির রজব মাসের ২৬ তারিখ। মুসলিম উম্মাহর জন্য অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ ও তাৎপর্যবাহী এই রাতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহ তায়ালার অনুগ্রহে আসমান পেরিয়ে সিদরাতুল মুনতাহা ও আরশে আজিমে পৌঁছান। এই সফরের মধ্য দিয়ে তিনি সৃষ্টিজগতের রহস্য প্রত্যক্ষ করেন এবং উম্মতের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান নিয়ে ফিরে আসেন।
শবে মেরাজের গুরুত্ব তুলে ধরে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, *‘পবিত্র তিনি, যিনি এক রাত্রিতে তাঁর বান্দাকে ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত, যার পরিবেশ তিনি বরকতময় করেছেন, যাতে আমি তাকে আমার কিছু নিদর্শন দেখাই। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।’* (সুরা বনি ইসরাইল: ১)
এ মহিমান্বিত রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাত লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আসকার ও বিশেষ দোয়া-ইবাদতে রাত অতিবাহিত করবেন। মসজিদ, মাদ্রাসা ও ইসলামিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে হবে বিশেষ মাহফিল ও আলোচনা সভা।
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, নবুওতের একাদশ বর্ষে (৬২০ খ্রিস্টাব্দ) রজব মাসের ২৬ তারিখ রাতে মহানবী (সা.) ফেরেশতা হজরত জিবরাইল (আ.)-এর সঙ্গে বোরাক বাহনে চড়ে মক্কায় কাবা শরিফ থেকে বায়তুল মুকাদ্দাসে যান। সেখানে তিনি পূর্ববর্তী নবীদের সঙ্গে মিলিত হয়ে নামাজ আদায় করেন। এরপর আসমান পেরিয়ে জান্নাত-জাহান্নামসহ সৃষ্টিজগতের বিভিন্ন রহস্য প্রত্যক্ষ করেন এবং আরশে আজিমে মহান আল্লাহর দিদার লাভ করেন।
বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর জন্য এ রাতের শিক্ষা অপরিসীম। এই রাত আমাদের নিয়মিত নামাজ আদায়, আত্মশুদ্ধি ও ইবাদতের প্রতি অনুপ্রাণিত করে। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা যথাযোগ্য মর্যাদায় শবে মেরাজ পালন করছেন।