ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণ হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
| আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০৫:০৪ পিএম | প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৫:৫৩ পিএম
ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণ হচ্ছে

দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দেশের স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসাগুলো পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণ করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে এক বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব এস.এম. মাসুদুল হক।

ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। গত ১৯ জানুয়ারি থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চালান তারা। দাবি আদায়ে রোববার (২৬ জানুয়ারি) শিক্ষকরা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে পদযাত্রার ঘোষণা দিলে পুলিশ তাদের শাহবাগে বাধা দেয়। এ সময় জলকামান, লাঠিচার্জ ও কাঁদুনে গ্যাস ব্যবহার করা হয়, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।

সচিবালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষকদের ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে যুগ্ম সচিব মাসুদুল হক শাহবাগে উপস্থিত হয়ে বলেন, “আপনাদের ছয় দফা দাবিসহ আরও কিছু বিষয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। প্রথম দফায় সকল ইবতেদায়ী মাদ্রাসা পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের সিদ্ধান্ত হয়েছে।”

তিনি আরও জানান, বর্তমানে অনুদানভুক্ত ১,৫১৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত করার কাজ ২০২৫ সাল থেকে শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে ২০২৬ ও ২০২৭ সালের মধ্যে এই মাদ্রাসাগুলোকে জাতীয়করণ করা হবে। জাতীয়করণের ফলে এসব প্রতিষ্ঠান উপবৃত্তি, মিডডে মিল ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন সুবিধা পাবে।

জাতীয়করণের ঘোষণার পর আন্দোলনকারীদের আহ্বায়ক মোখলেছুর রহমান বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে মানবেতর জীবনযাপন করছি। আজকের ঘোষণা আমাদের কিছুটা স্বস্তি দিলেও যতক্ষণ না সরকারি গেজেট প্রকাশিত হচ্ছে, ততক্ষণ আমরা নিশ্চিন্ত নই।”

ইবতেদায়ী মাদ্রাসার জাতীয়করণে সরকারের পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে-
২০২৫ সাল: অনুদানভুক্ত মাদ্রাসাগুলোকে এমপিওভুক্ত করা।
২০২৬-২০২৭ সাল: ধাপে ধাপে জাতীয়করণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা।
অতিরিক্ত সুবিধা: উপবৃত্তি, মিডডে মিল ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন।

শিক্ষকদের ছয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে ইবতেদায়ী মাদ্রাসার নিবন্ধন স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার, মাদ্রাসাগুলোর স্বীকৃতি প্রদান ও বেতন কাঠামোর উন্নয়ন।

সরকারের এই আশ্বাস শিক্ষকদের কতটা সন্তুষ্ট করতে পারবে এবং জাতীয়করণের প্রতিশ্রুতি কত দ্রুত বাস্তবায়ন হবে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে