রাজশাহীর পুঠিয়ায় পৌর সদরে দুইটি ইটভাটার পরিবেশেরগত সনদ নেই। তারপর ভাটার মালিকরা পরিবেশ অধিদপ্তর এবং উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সমঝোতা করে ব্যবসা করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলায় ১৭টি ইটেরভাটা রয়েছে। চলতি বছরে ১১টি ভাটার কার্যক্রম চালু রয়েছে। আর মাত্র ৪টি ভাটার পরিবেশের সনদ আছে। পৌর সদরের ভিতরে এমএসবি এবং এসএসবি নামের দুইটি ভাটা রয়েছে। আর যে ৪টি ভাটার সনদ দেওয়া হয়েছে। তা সঠিক ভাবে যাচাই-বাছাই করলে সনদ পাওয়া যোগ্য নয় বলে প্রশ্ন উঠেছে। সমিতির মাধ্যমে বিভিন্ন দপ্তরে টাকা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ইটের ভাটার মালিকরা ব্যবসা চালায়ে আসছেন। মানুষ দেখানো জন্য ভাটার সামনে কয়লা রাখা হয়েছে। কিন্তু ভাটাগুলি গভীর রাতে কয়লা পরিবর্তে গাছে গুড়ি কেটে টুকরা টুকরা করে পোড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। অপরদিকে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ না থাকায়,ভাটাগুলি প্রতিদিন ফসলী জমির উর্বর অংশ কেটে এনে ভাটায় জমা করছে। বর্তমানে আম গাছে মুকুল দেখা দিয়েছে। ভাটার কালো ধোঁয়ার কারণে আমের মুকুলে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। হাতেগোনা দুুই/একটি ভাটা আধুনিক ভাবে কয়লা দিয়ে ইটপোড়ানো ব্যবস্থা রয়েছে। শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের কোরবান আলি নামের ব্যক্তি বলেন,বেশিভাগ ইটেরভাটা শিলমাড়িয়া ও ভালুকগাছি ইউনিয়নে রয়েছে। উপজেলা সদর থেকে এই ইউনিয়নের দুরত্ব একটু বেশি হওয়ার জন্য এবং ভাটাগুলি দেখভালের দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের গাফলতির কারণে,ফসলের মাঠের ভিতর নিয়মভর্হিভূত ভাবে ইটভাটাগুলো গড়ে উঠেছে। ইটভাটার কালোধোঁয়ার কারণে প্রতিবছর আমাদের এলাকায় বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এলাকার কিছু হাতে গোনা দু’চার জন ইটভাটার মালিকরা লাভবান হবে। কিন্তু শতশত ফসল উৎপাদনকারী চাষীরা ইটভাটার দ্বারায় ক্ষতির শিকার হচ্ছে। পুঠিয়া পৌরসভা পাশে একটি ইটভাটা নাম পরিবর্তন করে ভাটা চালু করা হয়েছে। তার নাম দিয়েছে মডার্ণ সুপার ব্রিকস (এমএসবি) এলাকাবাসীরা বলছে,ভাটার ইটের আকার সঠিক নেই। তারপর ভাটার মালিকরা ইট তৈরির করার সময় ইটের ভিতর কী যেন পদার্থ মাটির সঙ্গে মিশ্রণ করে ইট পোড়াচ্ছে। যার কারণে নতুন ভাবে ঘববাড়ি নির্মাণ করার পর। কিছুদিনের ভিতর নোনা লেগে সিমেন্ট খুলে পড়ছে। বারইপাড়ার কাশেম উদ্দিন বলেন, এমএসবি ভাটাটির চৌতুরদিকে আমের বাগানে তার মাঝখানে ইটেরভাটা তৈরি করার ফলে প্রতিবছর আমে উৎপাদন কম এবং রোগবালাই বেশি হচ্ছে। পৌর সদরের মডার্ণ সুপার ব্রিকসের ম্যানেজার নাজমুল (এমএসবি) বলেন,আমারদের পরিবেশের কোনো সনদ নেই। আমরা প্রতিমাসে রাজশাহী পরিবেশ অধিদপ্তর,উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংস্থাকে সমিতির মাধ্যমে মোটাঅংকের টাকা দিয়ে ভাটার ব্যবসা করছি। এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক কবির হোসেন বলেন, ইটভাটার মালিকের সঙ্গে রাজশাহী পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনরকম অর্থনৈতিক লেন-দেন নেই। পরিবেশ অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে ভাটার মালিকরা মিথ্যা অপবাদ তুলেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম নুর হোসেন নির্ঝর যুগান্তরকে বলেন,পরিবেশের স্বার্থে আমরা আগামীতে রাজশাহীর পরিবেশের কর্মকর্তা এবং উপজেলা জেলা প্রশাসন মিলে ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।