ফুলবাড়ী সীমান্তে বাংলাদেশীর ঘরের কাজ বন্ধ করলো বিএসএফ

এফএনএস (ফুলবাড়ী, কুড়িগ্রাম) :
| আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০৫:০৪ পিএম | প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৬:৪০ পিএম
ফুলবাড়ী সীমান্তে বাংলাদেশীর ঘরের কাজ বন্ধ করলো বিএসএফ

এবার কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ফেলানী হত্যার সীমান্ত সংলগ্ন অনন্তপুর গ্রামের বড়াইতল নামক এলাকায় বাংলাদেশী গার্মেন্টস শ্রমিকের নির্মাণাধীন পাকা ঘরের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে ভারতের ১৩৮ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ঝিকরী ক্যাম্পের বিএসএফ।

গার্মেন্টসে চাকুরীর কষ্টের টাকায় নির্মাণাধীন দীর্ঘদিনের আবাসস্থলে আগ্রাসী ভারতীয় বিএসএফের বাঁধায় বন্ধ হওয়া ঘরের কাজ বন্ধ হওয়ায় ভুক্তভোগী বাংলাদেশী আব্দুল মালেক দম্পত্তি এখন বিপাকে পড়ে আছেন। তারা নিজ দেেেশর ভু-খন্ডে নিজের আবাস্থলে বিএসএফের বাধায় ঘরের কাজ করতে না পেরে হতাশা ও কষ্টে রয়েছে।

বাড়ির মালিক আব্দুল মালেক জানান, আমরা আমাদের বাড়ির ঘরের কাজ বিএসফের বাধায় করতে না পেরে বিপাকে পড়েছি। ঘরে শোয়ার সুযোগ না থাকায় এখন অনেকটা খোলা আকাশের নিচে বসোবাস করছি। বিএসএফের এমন কর্মকান্ডে আমরা কষ্টে দিনাতিপাত করছি।

জানা গেছে, ফুলবাড়ী উপজেলার ফেলানী হত্যার সীমান্ত সংলগ্ন অনন্তপুর গ্রামের বড়াইতল সীমান্তের আর্ন্তজাতিক সীমানা পিলার ৯৪৬/২ এস এর পাশে বাংলাদেশ অভ্যন্তরের মৃত-জমির উদ্দিনের ছেলে আব্দুল মালেক পৈত্তিক সম্পত্তির ৫ শতাংশ জমির উপর স্ত্রী সন্তান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বসোবাস করে আসছিলেন।

অভাবী সংসার হওয়ায় আব্দুল মালেক পাড়ি জমান ঢাকায়। সেখানে গার্মেন্টেসে চাকুরী করে কষ্টের উপার্জিত টাকা দিয়ে মাথা গোজার ঠাঁ বসতবাড়িতে টিনশেড পাকা ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করেন। ৩ টি কক্ষের কাজ শেষ পর্যায়ে হলেও গত ২১ জানুয়ারি বাঁধ সাধে ভারতের ১৩৮ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ঝিকরী ক্যাম্পের বিএসএফ।

নির্মাণাধীন টিনশেড পাকা ঘরের কাজ আর্ন্তজাকি আইনের ১৫০ গজের মধ্যে হচ্ছে বলে বিএসএফ বিজিবির কাছে ঘরের কাজ বন্ধের অভিযোগ তোলে। পরে বিজিবির নির্দেশে গার্মেন্টসকর্মী আব্দুল মালেক ঘরের কাজ বন্ধ করে দেয়।

এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী উপজেলার সীমান্ত এলাকার দায়িত্বরত লালমনিরহাটের ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কাশিপুর কোম্পানীর অনন্তপুর বিওপির নায়েক সুবেদার সফিকুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশীর ঘর নির্মাণের বিষয়ে একটি সুরাহার জন্য আমরা বিএসএফর সঙ্গে পতাকা বৈঠক করেছি। 

এতে বিএসএফ অভিযোগ করেছে ঘর নির্মাণ কাজটি আর্ন্তজাতিক সীমানার ১৫০ গজের ৭০ গজের মধ্যে নির্মাণ হচ্ছে। আমরা বিএসএফকে বলেছি, যতটুকু নির্মাণ হয়েছে ওই টুকু থাকবে এর বেশি আর নির্মাণ কাজ হবেনা। আমাদের বক্তব্য মেনে নিয়ে বিএসএফ সম্মতি প্রকাশ করে স্বাক্ষর করেছে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে