রাজধানীতে রাত-বিরাতে চলাচলে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন জায়গায় কেউ না কেউ ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেন, খোয়াচ্ছেন সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকার কিংবা টাকা-পয়সা। বাধা দিলেই ছিনতাইকারীর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে অনেকে হচ্ছে আহত, ঘটছে মৃত্যুর ঘটনাও। ছিনতাইয়ের শিকারদের মধ্যে বড় একটি অংশই দেশের নানা স্থান থেকে বিভিন্ন যানবাহনে আসা যাত্রী। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ছেড়ে আসা যানবাহনগুলো ভোরের দিকে রাজধানীতে যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। বাসস্ট্যান্ড থেকে তারা নির্দিষ্ট গন্তব্য বাসা-বাড়িতে যাওয়ার পথে বিভিন্ন সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সম্মুখীন হন। এছাড়া রাত এবং ভোরে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় চলাচলের সময় অনেকেই ছিনতাইয়ের শিকার হন। অনেক সময় এসব ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িতরা গ্রেফতার হলেও অনেক ক্ষেত্রেই থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর পুলিশ সদস্যরা থানা থেকে পালিয়ে যাওয়ায় অপরাধ দমন কার্যক্রমে স্থবিরতা এসেছিল। নতুন সরকার ঢাকায় পুলিশের জনবলে ব্যাপক পরিবর্তন আনে। পুলিশের সর্বোচ্চ পদ আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার পদে পরিবর্তন আনা হয়। তারপরও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি হয়নি। এর ফলে দিনে-দুপুরে রাজধানীতে ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। রাজধানীর মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, ফার্মগেট, যাত্রাবাড়ী, মিরপুর, খিলগাঁও, হাতিরঝিল, শাহজাহানপুর, হাজারীবাগ, চকবাজার, শাহ আলী, এমনকি গুলশানসহ বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েছে। মূলত সন্ধ্যার পরে ছিনতাই বেড়ে যায়। গত বছরের শেষ চার মাসে রাজধানীতে ছিনতাইয়ের মামলা হয়েছে ১২৫টি আর ডাকাতির ঘটনায় দায়ের করা মামলা ২২টি। গত সেপ্টেম্বরে ছিনতাই মামলা ১৭টি, ডাকাতির ৫টি। অক্টোবরে ছিনতাই মামলা ৩৩টি, ডাকাতির মামলা ৬টি। নভেম্বরে ছিনতাই মামলা ৩৮টি, ডাকাতির ২টি এবং ডিসেম্বরে ছিনতাই মামলা ৩৭টি, ডাকাতির ঘটনায় দায়ের মামলা ৯টি। সবচেয়ে বেশি ছিনতাইয়ের মামলা হয়েছে মোহাম্মদপুর, খিলগাঁও, যাত্রাবাড়ী, হাতিরঝিল ও শাহজাহানপুর থানায়। গত বছরের শেষ চার মাসে রাজধানীতে ছিনতাইয়ের মামলা হয়েছে ১২৫টি আর ডাকাতির ঘটনায় দায়ের করা মামলা ২২টি। গত সেপ্টেম্বরে ছিনতাই মামলা ১৭টি, ডাকাতির ৫টি। অক্টোবরে ছিনতাই মামলা ৩৩টি, ডাকাতির মামলা ৬টি। নভেম্বরে ছিনতাই মামলা ৩৮টি, ডাকাতির ২টি এবং ডিসেম্বরে ছিনতাই মামলা ৩৭টি, ডাকাতির ঘটনায় দায়ের মামলা ৯টি। সবচেয়ে বেশি ছিনতাইয়ের মামলা হয়েছে মোহাম্মদপুর, খিলগাঁও, যাত্রাবাড়ী, হাতিরঝিল ও শাহজাহানপুর থানায়। গ্রেপ্তার ও নজরদারি বাড়ানোর জন্য গোয়েন্দা প্রতিবেদন তৈরির মতো বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের পরও, ছিনতাইয়ের ঘটনায় মানুষ মূল্যবান জিনিসপত্র, টাকা পয়সা এবং কখনও কখনও তাদের জীবন পর্যন্ত হারাচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উন্নতি করতে হলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবশ্যই জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এসব অপরাধীদের দৌরাত্ম্য কমাতে হবে। তাহলে স্বস্তি পাবে সাধারণ মানুষ।