বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত সম্মেলনে ‘কথার টোন’ হবে আলাদা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
| আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০৫:০৪ পিএম | প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৬:০৫ পিএম
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত সম্মেলনে ‘কথার টোন’ হবে আলাদা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আগামী ১৭-২০ ফেব্রুয়ারি ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৫তম সীমান্ত সম্মেলন। এ সম্মেলনে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা, অবৈধ পারাপার এবং মাদকের কারবার নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। 

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তুতিমূলক সভা শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, এবারের সম্মেলনে বাংলাদেশ তার বক্তব্যের ‘টোন’ আলাদা করবে। তিনি আরও বলেন, “সীমান্তে বিএসএফ ও ভারতীয় নাগরিকদের হাতে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা বন্ধ করা, সীমান্তে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ ও মাদক ব্যবসা নিয়ে কঠোর আলোচনা হবে।”

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশ সম্পর্কিত যে মিথ্যা খবর পরিবেশন করা হয়, সেগুলি বন্ধ করতে কীভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যায় সে নিয়েও আলোচনা হবে। এছাড়া সীমান্তে ১৫০ গজের ভেতর অবৈধ কার্যকলাপ বন্ধ, মাদক ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়টি আলোচিত হবে।”

সীমান্ত সমস্যা নিয়ে বিশেষ আলোচনা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “২০১০ সালের ভারত-বাংলাদেশ চুক্তির কিছু অংশ অসম হয়ে পড়েছে এবং সে বিষয়ে নতুনভাবে আলোচনা করা হবে।” 

তিনি আরও বলেন, “অভিন্ন নদী ও সীমান্তের পানির সুষম বণ্টন, ফেনী অঞ্চলে শিল্প বর্জ্য প্রবাহ বন্ধ করা, এবং ফেনীর মুহুরীর চরে বর্ডার পিলার স্থাপনসহ সীমানা নির্ধারণের বিষয়গুলোও এ সম্মেলনে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।”

এছাড়া, সীমান্তে কৃষকরা যাতে বিএসএফ কর্তৃক আটক না হন, সীমান্ত লঙ্ঘন রোধ এবং ভারতের গণমাধ্যমে অপপ্রচার বন্ধ করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হবে।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে অতীতে অনেক আলোচনা ও সমঝোতা হয়েছে, তবে এই বৈঠকে নতুনভাবে ভারতের সাথে সুরত-প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হয়ে আসবে বলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান। 

এ বৈঠকে বিজিবি ও বিএসএফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ জরিপ অধিদপ্তর, ভূমি রেকর্ড অধিদপ্তর, এবং যৌথ নদী কমিশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।

এই সম্মেলন বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি দুই দেশের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনার এবং সীমান্ত সমস্যাগুলোর সুষ্ঠু সমাধান করার সুযোগ প্রদান করবে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে