‘গুম-খুন ও গণহত্যার জন্য ক্ষমা না চাইলে আ.লীগের বিক্ষোভের অনুমতি নেই’

নিজস্ব প্রতিবেদক
| আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০৫:০৪ পিএম | প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৬:২৩ পিএম
‘গুম-খুন ও গণহত্যার জন্য ক্ষমা না চাইলে আ.লীগের বিক্ষোভের অনুমতি নেই’
ফাইল ছবি

প্রধান উপদেষ্টা প্রেস সচিব শফিকুল আলম সম্প্রতি আওয়ামী লীগের ঘোষিত কর্মসূচি নিয়ে কঠোর বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ যদি তাদের ২০২৩ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা, হত্যাকাণ্ড এবং দুর্নীতির জন্য ক্ষমা না চায় এবং অপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ার সম্মুখীন না করে, তবে তাদের কোনো ধরনের বিক্ষোভ বা প্রতিবাদ সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।

শফিকুল আলম তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে বলেন, “আগস্টে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে অন্তর্বর্তী সরকার কখনো বৈধ বিক্ষোভ বন্ধ বা নিষিদ্ধ করেনি। সমাবেশ করার স্বাধীনতা এবং সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের স্বাধীনতায় আমাদের বিশ্বাস রয়েছে।” তবে, তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, আওয়ামী লীগ যদি নিজেদের অতীত কর্মকাণ্ডের জন্য ক্ষমা না চায় এবং তাদের নেতা-কর্মীরা অপরাধের জন্য বিচার না পায়, তবে তারা কোনো বিক্ষোভ করতে পারবে না। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “মিত্রবাহিনী কি নাৎসিদের বিক্ষোভ করার সুযোগ দিয়েছিল?”

এছাড়া, শফিকুল আলম তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন যে, আওয়ামী লীগের কর্মীরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর হত্যা ও আক্রমণ চালিয়েছে, যা ভিডিও ফুটেজে স্পষ্ট দেখা গেছে। তিনি জানান, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার গণহত্যা, খুন এবং তাণ্ডবের জন্য দায়ী। 

শফিকুল আলম আরও বলেন, “প্রায় তিন হাজার মানুষ গুম এবং তিন হাজার মানুষ বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যার শিকার হয়েছে। শাপলা চত্বরে গণহত্যা ঘটানো হয়েছে।" তিনি বলেন, "এমন এক শাসক দলকে আবার ক্ষমতায় আসতে দেওয়া যায় না।” 

তিনি এই কঠোর বার্তায় আরও যোগ করেন, “যতক্ষণ না আওয়ামী লীগ তাদের গণহত্যা, হত্যাকাণ্ড এবং দুর্নীতির জন্য ক্ষমা চায় এবং তাদের অন্যায়কারী নেতাকর্মীরা আইনের কাছে আত্মসমর্পণ করে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের বিক্ষোভ করার অনুমতি দেওয়া হবে না।”

এদিকে, আওয়ামী লীগ তাদের কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফেব্রুয়ারিতে প্রচারপত্র বিলি, অবরোধ, হরতাল ও বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা করেছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এমন কঠোর বার্তা দেওয়া হলে তাদের কর্মসূচি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। 

প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ এই খুনিরা যদি কোনো প্রতিবাদ বা বিক্ষোভ করে, তবে তার বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমরা দেশের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করি এবং সহিংসতার চেষ্টা কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না।"

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে