আপিল বিভাগের স্থগিতাদেশ

কারিগরি প্রতিষ্ঠানে সাড়ে ৩ হাজার নিয়োগে বাধা নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক
| আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০৫:০৪ পিএম | প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৬:৫৯ পিএম
কারিগরি প্রতিষ্ঠানে সাড়ে ৩ হাজার নিয়োগে বাধা নেই

পিএসসির অধীনে বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এবং টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজে জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর (টেক) ও ফিজিক্যাল এডুকেশন ইনস্ট্রাক্টর (দশম গ্রেড) পদে নিয়োগপ্রাপ্ত সাড়ে ৩ হাজার ১৭৩ জনের চাকরিতে যোগদানে আপিল বিভাগের স্থগিতাদেশে কোনো বাধা নেই। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন। 

এই আদেশের ফলে, ইতোমধ্যে নিয়োগপ্রাপ্তদের চাকরিতে যোগদান করতে কোনো বাধা থাকছে না বলে জানিয়েছেন উভয় পক্ষের আইনজীবীরা। তবে, নিয়োগ নিয়ে কোনো বিতর্ক এড়াতে আপিল বিভাগ এই বিষয়ে আরও বিশদ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আদালত আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করারও নির্দেশ দিয়েছে। একইসঙ্গে, নিয়োগ পরীক্ষায় সম্ভাব্য জালিয়াতি নিয়ে সিআইডিকে তিন সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

হাইকোর্টের ২৭ জানুয়ারির আদেশে, ৩,১৭৩ জনের নিয়োগ স্থগিত করা হয়েছিল, যার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে এই স্থগিতাদেশের জন্য আবেদন জানায়। আপিল বিভাগের এই নতুন আদেশে সাড়ে ৩ হাজার জনের নিয়োগের বিষয়ে কোনো স্থগিতাদেশ আর থাকবে না।

২০২১ সালে পিএসসি এই পদগুলোর জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এবং ২০২৩ সালের ১৮ মার্চ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তী সময়ে ২০২৫ সালের ২৩ জানুয়ারি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়ে ২৯ জানুয়ারি চাকরিতে যোগদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়। 

তবে, পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা ১৮ জন বঞ্চিত প্রার্থীরা হাইকোর্টে রিট করেন এবং পরীক্ষা নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ তোলেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে হাইকোর্ট তাদের নিয়োগ স্থগিত করে। রিটকারী পক্ষের আইনজীবী দাবি করেন, পরীক্ষায় চাতুর্যের আশ্রয় নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে, যার মধ্যে প্রশ্ন ফাঁসের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগও উঠেছে। 

এছাড়াও, আবেদ আলী চক্রের বিরুদ্ধে প্রশ্ন বিক্রি ও জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে, যা তদন্তাধীন। আপিল বিভাগের আদেশের পর নিয়োগপ্রাপ্তরা এখন তাদের কর্মজীবন শুরু করতে পারবেন, তবে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির ঘটনা নিয়ে আরও তদন্ত হতে থাকবে। 

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে