দুদু

হাসিনামুক্ত দেশ যেভাবে চলার সেভাবে চলছে না

এফএনএস অনলাইন:
| আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০৫:০৪ পিএম | প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৫:২০ পিএম
হাসিনামুক্ত দেশ যেভাবে চলার সেভাবে চলছে না

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বললেন, বাংলাদেশ হাসিনামুক্ত হওয়ার পর মানুষের যে প্রত্যাশা ছিল, মানুষ নির্বিঘ্নে বসবাস করবে, লুটেরাদের হাত থেকে দেশ রক্ষা পাবে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, প্রশাসন মানুষকে সহায়তা করবে। কিন্তু গত ৬ মাসে বাংলাদেশ যেভাবে চলেছে, যেভাবে এগোচ্ছে, ক্রমেই পরিস্থিতি জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী বাংলাদেশ চলছে না।

অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. ইউনুসের উদ্দেশে বিএনপির এ নেতা বলেন, ড. ইউনূস আপনি মানুষের উপকার করার জন্য দেশে এবং সারাবিশ্বে সমাদৃত। আপনার সুনাম আছে। যারা খুব নিপীড়িত মানুষ, অভাবী মানুষ, আপনি তাদের জন্য গ্রামীণ ব্যাংক বানিয়েছেন। এখন ক্ষমতার শীর্ষ পর্যায়ে আছেন। আপনার কাছে বা আপনার সরকারের কাছে দাবি জানানোর কোনো কারণ নেই। কারণ, আপনি নিজের থেকে যদি পদক্ষেপ নিতে না পারেন, তাহলে সেটা দেশ এবং মানুষের জন্য হবে দুঃখজনক ঘটনা।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বাজার ব্যবস্থায় যে সিন্ডিকেট শেখ হাসিনার সময় নিয়ন্ত্রণ করত, প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম যেভাবে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছিল, এখনও দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় এই অন্তর্বর্তী সরকারকে বলব, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করুন যেন সীমিত আয়ের মানুষ জীবনযাপন করতে পারে, সেই পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন যে ষড়যন্ত্রের জালের মধ্যে আটকে গেছে, সেই জাল ছিঁড়ে ফেলতে হবে। সেই জাল ছিঁড়তে হলে, কঠিন এবং কঠোর রাজনৈতিক নেতৃত্ব প্রয়োজন। আর এই রাজনৈতিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করার জন্য মানুষের সমষ্টিগত একটি সরকার দরকার। সেই সরকার যদি আমাদের প্রতিষ্ঠা করতে হয়, তাহলে মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।

শামসুজ্জামান দুদু আরও যোগ করেন, মানুষ তার পছন্দের দলের প্রার্থীকে নির্বিঘ্নে যেন ভোট দিতে পারে, এটিই হচ্ছে এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি কাজ। কোনো সরকারের পেছনে যদি জনগণ থাকে, দেশবাসী থাকে, তাহলে সেই সরকারের পক্ষে কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব এবং সেটি কার্যকর করা সম্ভব।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সমর্থন করেছে বটে, কিন্তু এই সরকারের কাছে প্রত্যাশিত ফল না পাওয়ার কারণে অন্যান্য রাজনৈতিক দল এখনও এই সরকারকে কাঁধে করে নিয়ে চলছে। কিন্তু, তারা তাদের কর্মসূচি, আগামী ভবিষ্যৎ নির্ধারণে যদি বারবার হতাশাজনক পরিস্থিতিতে পড়ে, তাহলে এই সমর্থন অব্যাহত রাখা কঠিন হবে। রাজনৈতিক দলগুলো থেকে এই সমর্থন অব্যাহত রাখা কঠিন হবে। সেজন্য আমি মনে করি, যত দ্রুত সম্ভব ভালো নির্বাচন করার জন্য যে সংস্কারগুলো অতি প্রয়োজনীয়, সেই সংস্কারগুলো সম্পন্ন করুন।

তিনি আরও বলেন, যারা মানুষ খুন করেছে, তাদের অতি দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় তারা নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কোনো কোনো জায়গায় তারা আন্দোলনে সক্রিয়দের ওপরও আক্রমণ করেছে। কোনো কোনো জায়গায় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে আন্দোলনকারীদের নামে মামলা-মোকদ্দমা করেছে, এটা চলতে পারে না। এ ব্যাপারে সরকারের শুধু সিদ্ধান্ত আসলে হবে না, তাদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে