কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে একটি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ' হিজড়া ' বলে ট্রন করে এক বখাটে। এ নিয়ে শিক্ষক - শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়ে ওই বখাটে। সে সময় ওই বখাটে তার আরো দুই সহপাঠীকে ডেকে নিয়ে যায় ওই বিদ্যালয়ে। তারা বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণ শুরু করেন। এ নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হলে তিন বখাটেকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপার্দ করেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের আলাউদ্দিন নগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে । আকটকৃতরা হলেন - আলাউদ্দিন নগর এলাকার আব্দুল মোমিনের ছেলে সোহান পারভেজ শুভ (১৮)। তিনি আলাউদ্দিন আহমেদ ডিগ্রী কলেজের কারিগরি শাখার এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। অপর দুজন হলেন একই এলাকার রাশেদ্লু ইসলামের ছেলে রাকিব হোসেন (১৮) এবং জমির উদ্দিনের ছেলে সোহাগ হোসেন (১৮)। তারা আলাউদ্দিন আহমেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী। জানা যায় দুপুরে বিদ্যালয়ের প্রবেশপথে বখাটেদের অবরুদ্ধ করে রেখেছেন শিক্ষক - শিক্ষার্থীরা। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌছে আটককৃতদের থানায় নিয়ে যান। এসময় নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা জানায়, মেয়েরা মাঠে বার্ষিক ক্রীড়া উপলক্ষ্যে খেলাধূলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। সেসময় বখাটে শুভ বেপরোয়া ভাবে মোটরসাইকেল নিয়ে বিদ্যালয়ে ঢ়ুকে এবং শিক্ষার্থীদের ' হিজড়া' বলে ট্রন করে। পরে শুভর আরো দুই সহপাঠী এসে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সঙ্গে অসাধু আচরণ করে। তারা বখাটেদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত শুভ বলেন, নতুন ভোটার তালিকার কাজ শুরু হয়েছে। ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলাম আলাউদ্দিন নগর এলাকায় ভোটার তালিকার দায়িত্বে রয়েছেন। আমার এবং আমার বোনের ভোটার তালিকা জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি শহিদুল ইসলামের কাছে দিতে এসেছিলাম। তবে ভুল বোঝাবুঝি হয়। আটকৃত সোহাগ বলেন, অবরুদ্ধের খবর পেয়ে আমি আর রাকিব শুভকে নিয়ে যেতে বিদ্যালয়ে এসে ফেঁসে গেছি। আমরা কিছু করিনি। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, ভোটার তালিকা চলছে গ্রামে। তবে বখাটে শুভ বিদ্যালয়ে ঢ়ুকে অসাধু আচরণ শুরু করে। পরে আরো দুইজন এসে উত্তেজনা সৃষ্টি করলে তাদের আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত শুভর বাবা আব্দুল মোমিন ফোনে বলেন, শিক্ষকদের কাছে ভোটার তালিকার কাগজপত্রাদি জমা দিতে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝিতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে মিটমাট করা হবে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কুমারখালী থানার ওসি মো. সোলায়মান শেখ বলেন, শিক্ষার্থীদের উত্যক্ত করার অপরাধে তিন বখাটেকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।