শেরপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য তিন বছর আগে ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। তিন বছর যেতে না যেতেই ঘরগুলোর এখন বেহাল অবস্থা। বেশিরভাগ ঘরের দেয়ালে ফাটল ধরে প্লাস্টার খুলে পড়তে শুরু করেছে। ফলে যে কোনো সময় দেয়াল ভেঙে পড়ার শঙ্কায় দিন কাটছে বাসিন্দাদের। শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার কাকরকান্দি ইউনিয়নের সোহাগপুর গ্রামের দরগার পুকুর পাড়ের আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা মালেছা বেগম। মুজিব বর্ষের উপহার হিসেবে ২০২১ সালে এখানে ঘর বরাদ্দ পায় এ ভূমি ও গৃহহীন বিধবা। ঘর ও জমি পেয়ে খুশিই হয়েছিলো সে। কিন্তু মাত্র তিন বছরের মধ্যেই তার ঘরের মেঝে ও দেয়ালে ফাটল ধরেছে। ধ্বসে পড়ছে দেয়ালের প্লাস্টার। ফলে শঙ্কা আর আতঙ্কে দিন কাটছে তার। এখানে বসবাসরত ১৩ পরিবারের সবারই একই অবস্থা। তাদের অভিযোগ, নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার ও মানসম্মতভাবে ঘরগুলো নির্মাণ না করার কারণে দুই বছরের মধ্যে অধিকাংশ ঘরগুলোর ভেতরে ও বাইরে ফাটল দেখা দিয়েছে। আবার পুরো কাজও করে দেয়নি একাধিক পরিবারকে। ফলে ঝর আসলেই চরম আতঙ্কে দিন কাটে তাদের।উপজেলার এ প্রকল্পের অধিকাংশ ঘরেরই একই অবস্থা। বাসিন্দাদের অভিযোগ কাজ ভালো করার অনেক অনুরোধ করেও কাজ হয়নি। রহিমা বেগম জানান, আসলে আমরা অসহায়। এহানে আশ্রয় পাইয়া খুশি অইছিলাম। কিন্তু এহন ডরের মধ্যে থাকতাছি। আমরা এডার একটা ব্যবস্থা চাই।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঘর প্রদানের নামে তৎকালীন স্থানীয় কর্মকর্তারা নানা অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন। এদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী তাদের।
রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা শুরুতেই বলেছিলাম কাজগুলো খারাপ হইতাছে। কাজটা ভালোভাবে করতে বলছি। কিন্তু শুনেনাই। এগুলো লোকদেখানো কাজ করছে।
এবিষয়ে নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা আক্তার ববি বলেন, এর আগে কেউ জানায়নি, অবগত হলাম তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে ।