পুঠিয়ায় পৌরসভার ৩৬ লাখ টাকার রাস্তা সংস্কারের কাজ মুখথুবড়ে পড়ে রয়েছে। কাজ শুরু করার সময়ে নিম্নমানে সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ কাজ হচ্ছে বলে তখন পৌরবাসীরা অভিযোগ তুলেছিলেন। কিন্তু ৬ মাস অতিবাহিত হলেও অদ্যবধি বিভিন্ন সমস্যা দেখিয়ে কাজটি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার করছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। পুঠিয়া পৌরসভার করনোকালীন উন্নয়নের বরাদ্দ হিসাবে ৫নং ওয়ার্ড়ের সৈয়দ মিয়ার বাড়ি হতে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ পর্যন্ত ৮২০ মিটার রাস্তার সংস্কারের কাজ গত বছরের আগস্টে শুরু করে ছিল। এতে ব্যয় ধরা হয়ে ৩৬ লাখ টাকা। মাহাবুব হাসান মওলা বলেন,রাস্তার কাজগুলো নির্মাণের সামগ্রী এবং অনিয়ম মাধ্যমে শুরু হয়ে ছিল। তারপর আমার বাড়ির সামনে অবৈধভাবে জোরপূর্বক অন্যায় করে রাস্তাটি বাঁকা করে নির্মাণ করছিলেন। তখন আমি রাস্তার সঠিক মাপ অনুযায়ী কাজ করার সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করেছি। রাস্তার পথচারী গিয়াস উদ্দিন বলেন, এই কাজের ঠিকাদার অতি নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করছে। রাস্তায় এক নম্বর ইটের খোয়া দেওয়া দেয়নি। কাজের সিডিউল অনুযায়ী কাজ করা হয়নি। শিমুল আহম্মেদ বলেন, নিম্নমানে ইটের খোয়া দিয়ে রুলার করলে ইটের খোয়া দেখা যাবে না। এটা মাটির রাস্তার পরিনত হয়ে যাবে। তারপর রাস্তার মাপ সব স্থানে ঠিক সেই। এই সড়কে কার্পেটিং করার পর তা উঠে যাবে। সেলিম হোসেন নামের রাস্তার পাশে বসবাসকারী বলেন,সংস্কারের কাজটি দীর্ঘদিন যাবত ধরে পরে থাকায় পৌরবাসীদের রাস্তায় চলাচল করতে বিভিন্নরকম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই রাস্তায় চলাচলকারী গোলাম আলি বলেন,দীর্ঘদিন কাজটি না হওয়া দেখে মনে হচ্ছে। আর সড়কটির কাজ শুরু হবে না। এতে করে কৌশলে সরকারের টাকা লুট করা হবে। আর পৌরবাসীর সড়কটিতে যাতায়তের সুফল পেল না। এ বিষয়ে এসপি কনষ্ট্রাকশনের মালিক আবু হানিফ সাকি বলেন, রাস্তার পাশে থাকা নির্মাণ করা রিটার্নিং ওয়ালের জন্য মাটি পাচ্ছি না। মাটি পেলেই কাজ শুরু করে দেব।
এ ব্যাপারে পুঠিয়া সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র দেবাশীষ বসাক বলেন,্ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে কাজটি করার জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এ ভিতরে কাজটি না করলে,তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।