নিখোঁজের ৭ দিন পর সেফটি ট্যাংক থেকে উদ্ধার হওয়া রফিকুল ইসলাম রুবেলের ৪ খুনিকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। নিখোঁজের ৭ দিন পর উপজেলার বাদপুকুরিয়া গ্রাম থেকে (গত ১৮ জানুয়ারি) রুবেলের লাশ উদ্ধারসহ বাদপুকুরিয়া গ্রামের মিন্টুর ছেলে সাগরকে আটক করে পুলিশ। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক ঝিনাইদহ ডিবি পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল সদর উপজেলার বাদপুকুরিয়া গ্রামের সোলাইমানের ছেলে শাহিন,শহিদুলের ছেলে টুটুল ও ইছাহকের ছেলে টগরকে গ্রেফতার করে। নেশার টাকা জোগাড় করতে রুবেলকে অপহরণ করে আসামীরা। এরপর রুবেলকে একটি পরিত্যক্ত ঘরে মুখ বেঁধে রেখে দিলে সেখানেই তার মৃত্যু ঘটে। রুবেলের মৃত্যুর পর তার লাশ গুম করার জন্য ওই গ্রামের একটি সেফটি ট্যাংকের মধ্যে লুকিয়ে রাখে। গ্রেফতারকৃতরা বৃহস্পতিবার আদালতে স্বীকারোক্তি জবানবন্দিতে এসব তথ্য দিয়েছে। এ ঘটনার মধ্যে দিয়ে সাগর হত্যার মোটিভ ও ক্লু উদ্ধার করলো পুলিশ। পুলিশ সুত্রে জানা গেছে,বুধবার মধ্যরাতে নরসিংদী জেলার চর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার অন্যতম আসামী টগরকে গ্রেফতার করে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল। এ অভিযানে এসআই খালিদ হাসান,এসআই হাফিজুর রহমান,এসআই আনিছুর রহমান ও এএসআই ইকলাছুর রহমান নেতৃত্ব দেন। নিহত রুবেলের ফুপু ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আম্বিয়া আক্তার লাকি জানান,শুনছি নেশার টাকার জন্য তার ভাতিজাকে হত্যা করা হয়েছে। মামলার বাদী নিহতের ভাই আশিকুর রহমান মিঠুন জানান,মামলায় যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা সবাই নেশাগ্রস্থ ও এলাকায় চুরিদারির সঙ্গে জড়িত। তারাই তার ভাইকে নেশার টাকার জন্য হত্যা করেছে। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) ইমরান জাকারিয়া জানান,আসামীরা সবাই মাদকাশক্ত। ভিকটিম রুবেলের পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ নেওয়ার জন্য আসামীরা একত্রে পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মোতাবেক রুবেলকে গত ১১ জানুয়ারি অপহরণ করে হাত,পা ও মুখ বেঁধে আসামীরা শাহিনের পরিত্যাক্ত বাড়ির একটি কক্ষে ফেলে রাখে। মুক্তিপণের টাকা দাবির পরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হওয়ায় আসামীরা সম্মিলিত ভাবে ভিকটিম রুবেলকে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য আসামী শাহিনের পরিত্যাক্ত বাড়ির পিছনের সেফটি ট্যাংকের মধ্যে ঢুকিয়ে রাখে। আসামীদের প্রদত্ত তথ্য মোতাবেক সাইবার টিম সংশ্লিষ্ট সকল আলামত উদ্ধার করেছে বলেও তিনি জানান।