মুক্তিযোদ্ধার ভ’য়া স্ত্রী পরিচয়ে সরকারি ভাতা উত্তোলন

এফএনএস (মোঃ আলাউদ্দিন রনি; মাধবপুর, হবিগঞ্জ) : : | প্রকাশ: ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০১:৩৩ পিএম
মুক্তিযোদ্ধার ভ’য়া স্ত্রী পরিচয়ে সরকারি ভাতা উত্তোলন

হবিগঞ্জের মাধবপুরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ৩ কর্মকর্তার যোগসাজসে অঞ্জনা ভৌমিক নামে এক মহিলা মুক্তিযোদ্ধার ভ’য়া স্ত্রী পরিচয়ে সরকারি ভাতা উত্তোলন করে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা আত্নসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সংক্রান্ত অভিযোগের আলোকে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়-উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা দূর্গা ভৌমিক ২০১৪ সালের ৭ জুলাই ২ ও ৩ স্ত্রী এবং ১ স্ত্রীর সন্তান রেখে মারা যায়। মারা যাওয়ার কিছুদিন পর ৩য় স্ত্রী অঞ্জনা ভৌমিক শ্রীমঙ্গল উপজেলার জঙ্গলবাড়ী চা-বাগানের বীর বল মুন্ডা নামে অপর এক ব্যক্তিকে বিয়ে করে সংসার করতে থাকে। তাদের একটি কন্যা সন্তানও জম্ম নেয়। দূর্গা ভৌমিক মারা যাওয়ার পর তার ওয়ারিশ হিসাবে ২য় স্ত্রী বিনতী ভৌমিক মুক্তি বার্তা নং ০৫০৩২০৩৩৯ মাধ্যমে ২০১৫ সালের ২০ ডিসেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বর ২০২০ইং পর্যন্ত  ভাতা উত্তোলন করতে থাকে। অপর দিকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে বিনতী ভৌমিকের ভাতা বন্ধ করে তৎকালিন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এনাম খাঁ, চৌমুহনী ইউনিয়ন কমান্ডার আব্দুল মোত্তালিব এবং আন্দিউড়া ইউনিয়নের কমান্ডার মোঃ ঝারু মিয়া যোগসাজসে অঞ্জনা ভৌমিককে দূর্গা ভৌমিকের মৃত্যুর ৭ বছর পর ওয়ারিশ তৈরী করে ভারতীয় তালিকা নং ২৬১০০ এর আলোকে মাধবপুর সমাজসেবা কার্যালয় এর মাধ্যমে ৩১.১০.২০২১ সালে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা প্রতিস্থাপন করে সোনালী ব্যাংক থেকে ২০২৪ সালের ২৮ এপ্রিল পযর্ন্ত ১০ হাজার ৬শত টাকা করে এবং প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা কর্তন হারে ৫ লক্ষ টাকা ঋন উত্তোলন করে। এ ব্যাপারে বিনতী ভৌমিক উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দায়ের করলে তিনি সমাজসেবা কর্মকর্তা নিপুন রায়কে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয়। এ ব্যাপারে সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এনাম খাঁ জানান এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। তৎকালিন সমাজসেবা কর্মকর্তা আশলাফ আলী ভাল বলতে পারবেন।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে