বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শনিবার রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার ১৩ নম্বর সেক্টর খেলার মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আয়োজিত খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল ও দরিদ্রদের শীত এবং শাড়ি বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বললেন, দলে যেন আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা ঢ়ুকতে না পারে সে বিষয়ে সজাগ থাকতে নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে হবে। দেশ হাসিনামুক্ত হয়েছে, কিন্তু গণতন্ত্র ফেরেনি। শেখ হাসিনা যে জঞ্জাল তৈরি করেছে তা সংস্কার করে নির্বাচন দেবে অন্তর্বর্তী সরকার, জনগণের তাই প্রত্যাশা। জনগণ যাকে খুশি তাকে নির্বাচিত করবে। ড. ইউনূসের সরকারকে নির্বাচন দিতে হবে যেন জনগণ তার অধিকার ফিরে পেতে পারে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও তার যে দুষ্টামি, মানুষের ক্ষতি করা তা তিনি ছাড়েননি। দিল্লিতে বসে দলীয় কর্মীদের তিনি বলছেন তোমরা তৈরি হও টুপ করে চলে আসবো। পদ্মা সেতু থেকে বেগম জিয়াকে টুপ করে ফেলে দিতে চেয়েছিলো, ঠিক সেভাবে টুপ করে চলে আসতে চান শেখ হাসিনা। তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে তাকে। মানুষ ভুলবে না। তিনি কেমন মহিলা তার মধ্যে কোনো অনুশোচনা নেই, এতগুলো মানুষ তিনি হত্যা করলেন। কতটা ভয়াবহ রূপে তিনি জাতির ওপর চেপে বসেছিলেন।
তিনি বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে বিএনপি। কিন্তু গতকাল যৌথবাহিনীর নির্যাতনে যুবদল নেতার মৃত্যু হয়েছে। যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। বাংলাদেশে আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার দেখতে চায় বিএনপি, আর কোনো নির্যাতন দেখতে চায় না । কোনো কিছু দখল করা কিংবা নির্যাতন করা এসব যেন আওয়ামী লীগের মতো বিএনপির কেউ না করে সেই আহ্বান জানান তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ থাকবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন যখনই হোক জনগণ না চাইলে বিএনপি ভোট পাবে? ভোট পেতে হলে জনগণের পাশে থাকতে হবে, তাদের ভালোবাসতে হবে, তাদের ভালোবাসা অর্জন করতে হবে। তবে ভোট এত সোজা ব্যাপার না, মানুষের মন যেকোনো দিকে ঘুরে যেতে পারে, সে বিষয়ে নিজেদের সাবধান থাকতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ থাকবেন সে অনুরোধ থাকবে। নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে।
অযথা সংঘাতমূলক রাজনৈতিক কথা না বলতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ছাত্ররা রাজনৈতিক দল করবে বিএনপি আনন্দিত। নতুন চিন্তাধারা নিয়ে জনগণের কাছে তারা যাবে, তাকে স্বাগত জানাবে। কিন্তু সরকারে থেকে রাজনৈতিক দল করলে জনগণ তা মেনে নেবে না। নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
নিত্যপণ্য ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি নিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, নিত্যপণ্য ও বিদ্যুতের দাম বাড়ার জন্য শুধু ব্যবসায়ীরাই দায়ী তা নয়, বিগত সরকারের দুর্নীতিও দায়ী। সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে।