সালমান এফ রহমান, দীপু মনি, পলক সহ নয়জনের রিমান্ড মঞ্জুর

রাজধানীর বাড্ডা ও কোতোয়ালী থানায় দায়ের করা হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিসহ নয়জনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম জি এম ফারহান ইসতিয়াক এ আদেশ দেন।

বাড্ডা থানার অটোরিকশাচালক হাফিজুল শিকদার হত্যা মামলায় রিমান্ডে যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন—সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক, শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, দীপু মনি, সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য সোলায়মান সেলিম, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং শ্রমিক লীগ নেতা গোলাম সারওয়ার পিন্টু।

এছাড়া, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অনিক কুমার দাস হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য সোলায়মান সেলিম ও কাউন্সিলর রঞ্জন বিশ্বাসকে দুই দিনের রিমান্ডে পেয়েছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।

এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা। আসামিপক্ষ রিমান্ড বাতিল ও জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বাড্ডা থানার মামলার এজাহার অনুযায়ী, গত ২০ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় অটোরিকশাচালক হাফিজুল শিকদার গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় গত ২১ আগস্ট তার পরিবার বাড্ডা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।

অপরদিকে, গত ১৬ জুলাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মিছিলে অতর্কিত গুলিবর্ষণের শিকার হন শিক্ষার্থী অনিক কুমার দাস। পরে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং ৩১ জুলাই তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান। এ ঘটনায় গত ২১ নভেম্বর কোতোয়ালী থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, ঘটনার প্রকৃত তথ্য জানতে এবং হত্যাকাণ্ডের পেছনের কারণ উদ্ঘাটনে আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করেন।

দুই দিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে হাজির করা হবে। তদন্তের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।